২৪ জনের দেশত্যাগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন শুরু
মার্কিন সরকারের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অধীনে নির্বাচিত ৬২ রোহিঙ্গার মধ্যে ২৪ জন বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভালস নয়েস বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষ করার ঠিক একদিন পর এ পুনর্বাসন শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জুলিয়েটা বলেন, "বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে, মার্কিন সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং অন্যান্য পুনর্বাসনকারী দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠা করতে পেরে খুবই আনন্দিত।"
তার সফরের চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল কক্সবাজার এবং ভাসান চরে শরণার্থী শিবিরগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, "২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যত্র যেসব ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন রয়েছে, তাদের জন্য ১.৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।"
মঙ্গলবার নয়েসের সঙ্গে বৈঠকের পর আবদুল মোমেন বলেন, "সরকার চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করুক।"
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থী নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এরমধ্যে পূর্ব এশিয়ার জন্য বরাদ্দ ১৫ হাজার।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান টিবিএসকে বলেন, "এখন পর্যন্ত আমরা ৬২ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছি। তাদের মধ্যে কতজন যাবেন এবং কখন যাবেন তা আমরা বলতে পারছি না।"
এই বছরের শুরুর দিকে, নিহত রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর প্রায় ৩৫ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন করেছে কানাডা।