বিশ্বকাপ ফাইনালের রেফারি সাইমন মারসিনিয়াক কে?
লিওনেল মেসি তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অথচ অধরা শিরোপাটি জিততে মাঠে নামবেন আগামী রবিবার। ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে, আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ম্যাচে। এটা তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচও বটে।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার জন্য তাদের অতিক্রম করতে হবে একমাত্র ফ্রান্স দলকে। ২৩ বছর বয়সী কিলিয়ান এমবাপ্পের সামনে সুযোগ রয়েছে পেলের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে পরপর দুই বিশ্বকাপ জয়ের, পেলে যেটি করেছিলেন ২১ বছর বয়সে।
দুটো দলই বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ইতিহাস গড়া থেকে মাত্র ৯০ মিনিট দূরে রয়েছে। আর সেই ম্যাচের রেফারির গুরুদায়িত্ব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাইমন মারসিনিয়াককে।
কে এই রেফারি সাইমন মারসিনিয়াক?
আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের ফাইনাল ম্যাচের রেফারি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পোলিশ রেফারি সাইমন মারসিনিয়াককে। ১৯৮১ সালের ৭ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এই ৪১ বছর বয়সী রেফারি ফিফা তালিকাভুক্ত হন ২০১৩ সালে, পোল্যান্ডের লীগে ২০০৯ সাল থেকে রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর।
কাতার বিশ্বকাপে আরও দুটো ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। প্রথমটি নভেম্বরের ২৬ তারিখে গ্রুপ ডি-এর ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচে, যেখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২-১ গোলে ডেনমার্ককে হারায়। দ্বিতীয় ম্যাচটি আর্জেন্টিনা বনাম অস্ট্রেলিয়ার শেষ ষোলর ম্যাচ, যেখানে আর্জেন্টিনাও একই ব্যবধানে জয় পায়। দুটো ম্যাচ মিলিয়ে তিনি মোট ৫টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন, তবে কোনো লাল কার্ড বা পেনাল্টি দেখা যায়নি সে ম্যাচে।
সহকারি রেফারি এবং চতুর্থ রেফারি কারা?
ফিফা রেফারি চেয়ারম্যান পিয়েরলুইজি কলিনা এই ৪১ বছর বয়সীকে ফাইনাল ম্যাচের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাকে সাহায্য করার জন্য থাকবেন পাভেল সাকোলনিকি এবং টোমাস লিসটিভিকজ। চতুর্থ রেফারি হিসেবে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইসমাইল এলফাথ। অন্যদিকে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)-হিসেবে থাকবেন পোল্যান্ডের টমাস কিভিয়াটকস্কি।
ইউরোপীয় ফুটবল ভক্তদের কাছে সাইমন মারসিনিয়াকের চেহারা পরিচিত মনে হতে পারে। ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের ৩-৩ গোলের ম্যাচে রেফারি হিসেবে ছিলেন তিনি। এছাড়াও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে পোর্তোর জিতে নেওয়া ম্যাচেও রেফারি হিসেবে ছিলেন তিনি। সে ম্যাচে মেহদি তারেমিকে ডাইভিংয়ের জন্য লালকার্ড দেখান।
২০১৮ বিশ্বকাপেও দুই ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি, যার একটি ম্যাচে জার্মানির জেরোম বোয়াটেংকে লাল কার্ড দেখান তিনি।
তবে কাতার বিশ্বকাপের দুটো ম্যাচেই কোন ধরনের বড় বিতর্ক তৈরি ছাড়াই নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেছেন সাইমন। হাতেগোনা কিছু রেফারি সম্পর্কেই এ কথা বলা সম্ভব। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচে অ্যান্টোনিও মাতেউ লাহোজের কথা না বললেই নয়। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে ফিফার পক্ষ থেকে একটি বিচক্ষণ সিধদান্ত ছিল সাইমনকে দায়িত্ব দেওয়া।