প্রাইমারি স্কুলে কোটাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পারিবারিক (পোষ্য) ও মাত্র ২০ শতাংশ পুরুষ কোটার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগদান চূড়ান্ত করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসাথে কোটার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিধান কেন বাতিল করা হবে না, সেটিও জানতে চেয়েছেন আদালত।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
বাদ পড়া ১৫২ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিটের ওপর প্রথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন বিচারক মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারক বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
শিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
অ্যাডভোকেট শামীম সরদার বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্দ রেখে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়। যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট পুরুষ ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা হয়।
তিনি বলেন, সংবিধানের ২৯ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটি অসাংবিধানিক। দেশে শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে মাত্র ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রেখে এ নিয়োগ হতে পারে না। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদনও করা হয়।