করোনার উপসর্গ নিয়ে চলে গেলেন প্রখ্যাত শিল্পনির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত পরিচালক, শিল্পনির্দেশক ও চলচ্চিত্রের শিক্ষক মহিউদ্দিন ফারুক (৭৮) আর নেই। শুক্রবার দুপুরে তিনি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গণমাধ্যমে তার ভগ্নিপতি শফিকুর রহমান জানান, দুই-তিন ধরে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন মহিউদ্দিন ফারুক। ব্যক্তিগত সচেতনতা থেকেই বনানীর বাসায় দরজা বন্ধ করে পরিবারের বাকি সদস্যদের কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলেন। ফোনে সবার সঙ্গে কথা বলতেন। চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ওষুধও খাচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে গুণী এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে নিজ কক্ষে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তার পরিবারকে জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি।
হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে মিরপুরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মহিউদ্দিন ফারুকের জন্ম ১৯৪২ সালের ১ মার্চ, ঢাকায়। শিল্পনির্দেশক হিসেবে শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে 'বসুন্ধরা' (১৯৭৭), 'ডুমুরের ফুল' (১৯৭৮), 'পিতা মাতা সন্তান' (১৯৯১), 'পদ্মা নদীর মাঝি' (১৯৯৩), 'দুখাই' (১৯৯৭), 'মেঘলা আকাশ' (২০০১) এবং 'অবুঝ বউ' (২০১০) চলচ্চিত্রের জন্য সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অন্যদিকে, তার পরিচালিত প্রথম ছবি 'বিরাজ বউ'।
শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার বিভাগের চেয়ারম্যান। এছাড়া, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটেরও চলচ্চিত্রের পাঠ দিতেন।
তার মৃত্যুতে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।