মেসি পরবর্তী যুগে প্রথম শিরোপা জিতে নতুন শুরুর ইঙ্গিত বার্সেলোনার
রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। মেসি পরবর্তী যুগে এটিই বার্সেলোনার প্রথম শিরোপা। ২০২১ সালের জুনে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বার্সেলোনা ছেড়েছেন মেসি। বলা উচিত, বাধ্য হয়েই ছেড়েছেন।
ক্লাবের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের আচমকা বিদায়ে অকূল পাথারেই পড়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। গত দেড় বছরে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো বটেই, কোপা দেল রেতেও খুব বেশি দূর আগাতে পারেনি তারা। তবে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে দিন বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে জাভির দল।
বার্সেলোনার মূল দলে মেসির অভিষেক হয়েছিল ২০০৫ সালে। এরপর ১৭ বছরে বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন অসংখ্য শিরোপা। নিজের ব্যক্তিগত অর্জনের ভান্ডারও সমৃদ্ধ হয়েছে সেইসাথে। ২০০৯ থেকে ২০২১, শুধু এই ১২ বছরের মধ্যেই ৮ বার লা লিগা এবং ৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথম ক্লাব হিসেবে দুইবার ট্রেবল জেতার রেকর্ড বার্সা গড়েছিল মেসির হাত ধরেই।
আচমকা এক ঝড়ে মেসি-বার্সা সম্পর্কের ইতি ঘটে, এরপর তিনি চলে যান পিএসজিতে। সেখানেও নিজের স্বভাবসুলভ জাদুকরি খেলা বজায় থাকলেও তাকে ছাড়া বার্সেলোনা ডুবে গিয়েছিল অথৈ সাগরে। অনেক টাকা খরচ করেও মেসির অভাব পূরণ করার মতো খেলোয়াড়ের খোঁজ বার্সেলোনা পায়নি।
যদিও এই মৌসুমে হাওয়া বদলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বার্সা বিদায় নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে আছে জাভির দল। স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপাও কাতালানরা জিতলো তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়েই।
ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে রীতিমতো ঘোল খাইয়েছে জাভির সৈন্যরা। লেভানডোভস্কি-পেদ্রি-গাভিরা জ্বলে উঠেছেন বড় ম্যাচগুলোতে। লেভানডোভস্কি বার্সার হয়ে প্রথম মৌসুমেই ইতোমধ্যে ২২ ম্যাচে করেছেন ২০ গোল।
রক্ষণভাগে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন আরাউহো-কুন্দে-ক্রিস্টেনসেনরা। গোলপোস্টে নিজের সেরা ফর্ম ফিরে পেয়েছেন টার স্টেগানও। মাঝমাঠে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন পেদ্রি-গাভির মতো তরুণরা। সাথে ফ্র্যাংকি ডি ইয়ংয়ের অসাধারণ ফর্ম বার্সেলোনার জন্য সুসংবাদ বয়ে এনেছে।
মেসি পরবর্তী যুগে বার্সেলোনা বিপদে পড়বে, এটা জানাই ছিলো। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার শুরুটা হয়তো স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জেতা দিয়েই হলো।