করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করেন অফিস সহায়ক!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় করনোভাইরাসের উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক নাছির উদ্দিন।
কোনো ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়াই গত কয়েকদিন ধরে তিনি নমুনা সংগ্রহ করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এখন পর্যন্ত আখাউড়া উপজেলা থেকে যে পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার সিংহভাগই করেছেন নাছির নামের এই ব্যক্তি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সূত্র জানায়, আখাউড়া থেকে এ পর্যন্ত ১০০ জনের মতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শুরুতে নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনিশিয়ান মনির খান। নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তিনি প্রশিক্ষণও নেন। তবে এক পর্যায়ে অসুস্থতাবোধের কথা কথা জানিয়ে নমুনা সংগ্রহে অপারগতা জানান তিনি। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে তার বদলে প্রশিক্ষণ ছাড়াই অফিস সহায়ক নাছির উদ্দিন নমুনা সংগ্রহ করেছেন। অন্তত ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে অফিস সহায়ক নাছির উদ্দিন বলেন, "আমাকে দেখিয়ে দেওয়ার পর থেকে ভালোভাবেই কাজটি করছি। আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আমাকে পিপিইসহ আনুষাঙ্গিক সব দেওয়া হয়েছে।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুর রহমান বলেন, ''কাকে দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করাবো, না করাবো তা জেনে আপনার লাভ কী? অন্যকোনো কথা থাকলে আপনি বলতে পারেন।"
এভাবে নমুনা সংগ্রহে ঝুঁকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, আখাউড়ায় টেকনিশিয়ান আছে কিনা জানতে হবে। যদি থাকে তাহলে তারই নমুনা সংগ্রহ করার কথা। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।