নাসিম তোপে বিধ্বস্ত ঢাকার টানা ষষ্ঠ হার
শুরুটা ভালোই ছিল ঢাকা ডমিনেটর্সের, খুলনা টাইগার্সকে ছয় উইকেটে হারিয়ে বিপিএল মিশন শুরু করে তারা। কিন্তু দলটির সাফল্যের গল্প ওই একটাই। এরপর হার হয়ে ওঠে অমোঘ নিয়তি। অধিনায়ক নাসির হোসেন প্রায় সব ম্যাচেই ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েও বদলাতে পারেননি দলের ভাগ্য। বদলায়নি এবারও, হারের বৃত্তে বন্দি থাকা ঢাকার সঙ্গী হলো টানা ষষ্ঠ হার।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সাত ম্যাচে এটা কুমিল্লার চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে আছে তিনবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা ছয়টি ম্যাচ হারা ঢাকা ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানির দল। এই হারে প্লে-অফ পর্বে ওঠার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠলো নাসিরের দলের।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে কুমিল্লা। লিটন কুমার দাস, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, জনসন চার্লস, ম্যাচসেরা খুশদিল শাহ, জাকের আলীদের মাঝারি ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে কুমিল্লা। জবাবে কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহর তোপের মুখে উসমান গনির পর অধিনায়ক নাসির কিছুটা লড়াই করেন। শেষ দিকে আল আমিন হোসেন কিছু রান করে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। ঢাকার ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ১০৪ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নানা ঢাকার হয়ে ৩৪ বলে ২টি চারে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন উসমান গনি। এ ছাড়া নাসির ১৭, আরিফুল হক ১১ ও আল আমিন অপরাজিত ১৪ রান করেন। ঢাকার বাকি সাত ব্যাটসম্যানের কেউ-ই ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। আগুনে বোলিং করা কুমিল্লার পেসার নাসিম ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। খুশদিল শাহ পান ২টি উইকেট। এ ছাড়া আবু হায়দার রনি, মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, জনসন চার্লস একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে কুমিল্লার হয়েও কেউ বড় ইনিংস করতে পারেননি, তবে তাদের কয়েকজন ব্যাটসম্যান রান পাওয়ায় লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় তারা। ২৫ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন চার্লস। এ ছাড়া লিটন ২০, ইমরুল ২৮, ম্যাচসেরা খুশদিল ৩০, জাকের ২০ ও আবু হায়দার ১১ রান করেন। ঢাকার অধিনায়ক নাসির ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান তাসকিন আহমেদ, আল আমিন ও আমির হামজা।