জিতেও স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের মেয়েদের
বড় ব্যবধানে জিতেও তা যথেষ্ট হলো না বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য। অনূর্ধ্ব ১৯ নারী টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার সিক্স পর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো স্বর্ণা-দিশাদের। সেমি-ফাইনাল ওঠার স্বপ্নও পূরণ হলো না। বিশ্বকাপে দুর্বার পথচলা থামলো এখানেই।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে সুপার সিক্সে উঠেছিলেন আফিয়া-সুমাইয়ারা। দাপুটে সব জয় তুলে নিয়ে টুর্নামেন্টের কালোঘোড়াও হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। টগবগ করতে থাকা ঘোড়া আচমকা বশ মানল।
সেমি-ফাইনালে যেতে হলে আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুধু জিতলেই হতো না বাংলাদেশের, জিততে হতো বড় ব্যবধানে। সেটি বাংলাদেশ জিতেছে বটে, তবে অস্ট্রেলিয়াকে রানরেটে পেছনে ফেলার মতো যথেষ্ট বড় ছিলো না ব্যবধান।
সুপার সিক্সের গ্রুপ ওয়ান থেকেই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশের নারীদের। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে আরব আমিরাতকে ৬৫ বল হাতে রেখে হারালেও সেটি যথেষ্ট হয়নি সেমি-ফাইনালে ওঠানোর জন্য।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আরব আমিরাত। আগে ব্যাট করে বড় লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে কম রানে প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দিতে পারলে যা একটা সুযোগ থাকতো বাংলাদেশের, আগে ফিল্ডিং পাওয়ায় সেই আশা ক্ষীণ হয়ে যায় সেখানেই।
এরপরেও নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন তরুণীরা। আরব আমিরাতের ইনিংস মাত্র ৬৯ রানেই থামিয়ে দেন রাবেয়া-মারুফারা। মাত্র ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন রাবেয়া। ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মারুফা।
সেমি-ফাইনালে যেতে হলে এই রান ২-৩ ওভারের মধ্যে টপকাতে হতো বাংলাদেশকে। এই অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়নি শেষ পর্যন্ত। ৯.১ বল খেলে আরব আমিরাতের সংগ্রহ টপকে যান স্বর্ণা- উন্নতিরা। স্বর্ণা ১৯ বল খেলে ৩৮ রান করেন।
এই জয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমান ৪ ম্যাচ খেলে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট পেলেও রানরেটের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। অস্ট্রেলিয়ার রানরেট +২.২১০, সেখানে বাংলাদেশের +১.২২৬।
বাংলাদেশের গ্রুপে শীর্ষে থাকা ভারতের পয়েন্টও ৬, কিন্তু রানরেটে বাংলাদেশের থেকে ঢের এগিয়ে তারা। বিদায় নিলেও মাথা উঁচুই থাকছে বাংলাদেশের মেয়েদের।