স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে ২০২২ সালে: গবেষণা
গত বছর দেশের স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪৬ জন স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত সংস্থাটির গবেষণায় তারা দেখিয়েছে যে ৩৪০ জন স্কুলছাত্র এবং ১০৬ জন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণাটি ১৫০টিরও বেশি জাতীয়, স্থানীয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কুল ও হাইস্কুল শিক্ষার্থী, ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ তাদের জীবন শেষ করেছে।
এরপরের অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম (১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ) ও রাজশাহী (১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ), খুলনা (১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ), রংপুর (৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ), বরিশাল (৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ), ময়মনসিংহ (৬ দশমিক ২৭ শতাংশ) এবং সিলেট (৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ)।
এছাড়াও ৮৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৪ জন মাদরাসা ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় গড়ে প্রতি মাসে ৩৭ জন স্কুল এবং হাইস্কুল ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তথ্যের একটি লিঙ্গ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি (৬০ দশমিক ১৫ শতাংশ)।
আর স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা করে ৬৩ দশমিক ৯০ শতাংশ মেয়ে। এবং আত্মহত্যাকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৪৪ শতাংশই মেয়ে।
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যাকারী স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত (২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবেগপ্রবণ জনিত সমস্যা (২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ), পারিবারিক দ্বন্দ্ব (তিন দশমিক ১৪ শতাংশ), বিষণ্নতা (দুই দশমিক শূন্য এক শতাংশ), মানসিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ) সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া আর্থিক সমস্যা (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), হয়রানি (এক দশমিক ৭৯ শতাংশ), এবং ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির ঘটনা (এক দশমিক ৩৪ শতাংশ)।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম বলেন, 'আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় হল, ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। 'ছোটবেলা থেকেই, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আবেগ ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো বাড়িতে পরিবার, সামাজিক অবস্থান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো উচিত।'