রংপুর রাইডার্সের মেহেদি রাঙা জয়
কোয়ালিফায়ারে ওঠার রেসে টিকে থাকতে ম্যাচটি ছিল ঢাকা ডমিনেটর্সের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। কেবল জয়েই দৃষ্টি ছিল দলটির। এমন ম্যাচে তাদের সংগ্রহ হয় সামান্যই। যদিও তা পাড়ি দিতে নেমে ভালোই বেগ পোহাতে হলো রংপুর রাইডার্সকে, তারা খেই হারায় কয়েকবার। কিন্তু ব্যতিক্রম শেখ মেহেদি হাসান, তিনে নেমে অসাধারণ সব শটে ঝলমলে ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিলেন স্পিনার হিসেবে পরিচিত এই ক্রিকেটার।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই জয়ে কোয়ালিফায়ারের পথে আরেকটু এগিয়ে গেল নুরুল হাসান সোহানের দল। আট ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছে তারা। হারের বৃত্তে বন্দি ঢাকার বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। নয় ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে নাসির হোসেনের দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা ডমিনেটর্স। শুরুতেই খেই হারানো দলটিকে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে পথ দেখান দারুণ এক ইনিংস খেলা উসমান খান। উসমানের পর শেষ দিকে মোহাম্মদ মিথুন ও অধিনায়ক নাসির হোসেন কিছু রান পান। তাদের ব্যাটে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে ঢাকা। জবাবে রনি তালুকদার ও ম্যাচসেরা মেহেদি হাসানের দারুণ জুটির পর শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ে ব্যাটে চড়ে ৬ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় রংপুর।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৫ রানেই ওপেনার নাঈম শেখকে হারায় রংপুর। যদিও দলকে চাপ বুঝতে দেননি রনি ও মেহেদি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন তারা। ২৮ বলে ৫টি চারে ২৯ রান করে রনি বিদায় নিলে শুরু হয় মেহেদির ব্যাটিং শো। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বল পর্যন্ত ব্যাটিং করেন তিনি, তার ব্যাটে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় রংপুরের।
দলীয় ১২৩ রানে আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭২ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন মেহেদি। শোয়েব মালিক ও সোহান দ্রুত আউট হলে জয় তুলে নেওয়ার কাজটি সারেন নওয়াজ ও ওমরজাই। নওয়াজ ১৭ ও ওমরজাই ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার সালমান ইরশাদ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান আমির হামজা, আল-আমিন হেসেন ও সৌম্য সরকার।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকাকে একাই পথ দেখান উসমান ঘানি। আফগানিস্তানের এই ওপেনার ৫৫ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ১১, মিথুন ১৪ ও নাসির ২৯ রান করেন। রংপুরের আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মেহেদি হাসান ও রকিবুল হাসান।