বছরের শেষের দিকেই টুইটারের নতুন সিইও নিয়োগ দেবেন মাস্ক
চলতি বছরের শেষের দিকেই টুইটারের নতুন সিইও নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে স্বীকার করে বুধবার এ ঘোষণা দেন মাস্ক। খবর খালিজ টাইমসের।
মাস্ক বলেন, "টুইটারকে স্বাভাবিক ও লাভজনক একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। কোম্পানিটির জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করতে হবে। তাই আমি মনে করি, এবছরের শেষ নাগাদই কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য নতুন সিইও নিয়োগের সঠিক সময়।"
বুধবার মাস্ক নিজের ফ্লকি নামক পোষা কুকুরকে সিইও লেখা কালো টি-শার্ট পরিয়ে সিইও এর চেয়ারে বসানো অবস্থায় একটি টুইট করেন। টুইটটি মাত্র চার ঘন্টায় ১ কোটি ৮০ লাখ ভিউ পায়।
টুইটারের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মাস্ক বলেন, তার এক্স ডট কম নামে একটি ওয়ান স্টপ ডিজিটাল অ্যাপ বানানোর পরিকল্পনা আছে। যার মাধ্যমে লেনদেন, বাণিজ্যিক সেবা প্রাপ্তি, তথ্যের আদান-প্রদান, নিরাপদ যোগাযোগ এবং যেকোনো ডিজিটাল কাজ করা যাবে।
অ্যাপটি মানুষের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থাও করবে। এটি তথ্যপ্রাপ্তির একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। তাই এটি সত্য জানার মাধ্যম হিসেবে সর্বোচ্চ সুফল নিশ্চিত করবে। আর টুইটার এই অ্যাপের পথকে সুগম করবে।
মাস্ক জানান, এশিয়ার বাইরে উইচ্যাটের মতো কোন শক্তিশালী অ্যাপ নেই। চায়না অনেকটা উইচ্যাটের মাধ্যমেই চলছে। তিনি সেরকম একটি অ্যাপ নির্মাণ করতে চান। বর্তমানে টুইটার ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ২৩ কোটি ৭০ লাখ, মাস্কের লক্ষ্য তা বৃদ্ধি করে ১০০ কোটিতে নিয়ে যাওয়া।
মাস্ক জানান, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তার ভাষ্যে, "এমন একটি নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল জনপরিসর থাকা উচিত, যেখানে জনগণের উপর সর্বনিম্ন সেন্সরশিপ থাকবে। সাধারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে দেশগুলোর আইন অনুসারেই চলা উচিত এবং আইনের গন্ডির বাইরে যাওয়ার চেষ্টা না করাই উচিত।"
ইলন মাস্ক দেশের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের টুইটারে নিজের ভাব প্রকাশ করতে বলেন। তারা যেন সেন্সরশিপে না থেকে নিজেদের মনের ভাবনা প্রকাশ করেন সে বিষয়েও জোর দেন তিনি।
মাস্ক আরও জানান, অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফাইড করা থাকলে মানুষের মাঝে টুইটার চালানোর ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধ কাজ করবে। এটি ইন্টারনেটে ব্যক্তির পরিচয় বহন করে। এর মাধ্যমে ব্যক্তির প্রতারণা করার জায়গা কমে যায় এবং নিজের মর্যাদা রক্ষারও প্রয়োজন পড়ে।