রাষ্ট্রপতি হতে কোনো বাধা নেই মো. সাহাবুদ্দিনের
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণার প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া দুটি রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ মার্চ) মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট দুটি খারিজ করে দেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। আরেকটি রিট করেন আইনজীবী আব্দুল মোমেন চৌধুরী। তরা দু'জনই শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম আমিন উদ্দিন এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী।
আদেশ শেষে রিটকারী দুই আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদন করবেন।
রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর রাষ্ট্রপতি পদে তাকে যোগ্য ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
পরে রিট দুটি গত ১৩ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে শুনতে বিব্রত বোধ করেন হাইকোর্ট। এরপর আদালত রিট দুটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য নথি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপরই প্রধান বিচারপতি রিট দুটি শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নেবেন।