দিল্লিতে এক মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ রাহুলকে
রাহুল গান্ধীকে দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের লোকসভার হাউজিং কমিটি। সংসদের সদস্য হিসেবে সে বাংলো রাহুলকে বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পরই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে বাংলোটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। সেজন্য 'ডেডলাইন' বা সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে লোকসভার কমিটি। বাংলো খালি করতে এক মাস সময় পাবেন রাহুল।
২০০৫ সাল থেকে লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ তুঘলক লেনের সরকারি বাংলোয় থেকে আসছেন রাহুল। ১৮ বছর ধরে তার নামে যে সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে, তা ছেড়ে দিতে রাহুলের হাতে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। সে বাংলো থেকে নিজের দপ্তরও চালাতেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হয়ে যায়। সব 'মোদি' পদবির লোকেরা 'চোর', এমন মন্তব্যের জন্য অপরাধমূলক মানহানির মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত। তারপরই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করা নিয়ে লোকসভার সচিবালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যদি সিদ্ধান্ত বহাল থাকে, তাহলে আগামী ছয় বছর কোনও নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না রাহুল।
ভারতের ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কোনও অপরাধের জন্য কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিকে যদি দু'বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য শাস্তি প্রদান করা হয়, তাহলে তাকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। ওই আইনের আওতায় বহিষ্কারের ক্ষেত্রে যে তিন মাসের 'সুরক্ষাকবচ' প্রদান করা হয়েছিল, তা ২০১৩ সালে লিলি থমাস মামলায় খারিজ করে দিয়েছিলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।
যেহেতু ফৌজদারি মামলায় রাহুল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাই তিনি নিজে সরাসরি হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন না। তবে সুরাটের আদালত যে রায় দিয়েছে, সেটা বৃহত্তর জনস্বার্থে ধাক্কা দিয়েছে বলে যুক্তি দেখিয়ে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানাতে পারেন কোনও ব্যক্তি।