শুধু লাগেজ চুরি নয়, চোর চুরির জিন্স পরেই ঘুরছিলেন!
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যের আটলান্টায় বিমানবন্দর থেকে লাগেজ চুরির দায়ে জনৈক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। যে ব্যক্তির লাগেজ তিনি চুরি করেছিলেন, লাগেজ খুলে তারই জিন্স ও শার্ট পরে ঘুরতে থাকার সময় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন ভুক্তভোগী। খবর নিউজউইকের।
নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ক্রেইগ নেলসন। তার বিরুদ্ধে হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেআইনিভাবে যাত্রীদের ব্যাগ চুরি করা এবং অপরাধমূলক অনুঃপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
নেলসন যার লাগেজ চুরি করেছিলেন, সেই ভুক্তভোগী জামিল রিদ জানান, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে আটলান্টা এসে নামার পর তার লাগেজটি খোয়া যায়। কিন্তু লাগেজের ভেতরে থাকা একটি অ্যাপল এয়ার ট্যাগ ট্র্যাকিং করে তিনি অপরাধীকে শনাক্ত করেন।
স্থানীয় ডব্লিউএসবি-টিভিকে তিনি বলেন, "এই লোকটা আমার লাগেজ চুরি করেছে, যেই লাগেজের ভেতর প্রায় ৩০০০ ডলারের সমমূল্যের জিনিসপত্র ছিল। লাগেজের জন্য আমি ব্যাগেজ ক্লেইমে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করছিলাম, প্রায় আধাঘণ্টা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, কিন্তু লাগেজ পাচ্ছিলাম না। এক পর্যায়ে আমি আমার ফোন বের করি এবং আমার মনে পড়ে যে লাগেজে একটা এয়ার ট্যাগ আছে; সেই সাথে আমি দেখলাম যে আমার লাগেজটা বিমানবন্দরেই নেই।"
তবে কিছুক্ষণ পরেই রিদ লক্ষ্য করেন যে, তার লাগেজটি আবার বিমানবন্দরের দিকে ফিরে আসছে। তখন তিনি বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান এবং মোবাইল দিয়ে লোকেশন ট্র্যাক করতে থাকেন।
অবশেষে চোর তার লাগেজসহ বিমানবন্দরে ফিরে আসে এবং সেখানেই তিনি তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখিয়ে জামিল রিদ বলেন, "এই যে সিলভার রঙের লাগেজটা, আমার এই লাগেজের ভেতরে একটা ট্র্যাকিং ডিভাইস আছে… আর এটার মাধ্যমেই আমি তোমাকে ধরেছি। এমনকি তুমি আমার জিনস-শার্টও গায়ে দিয়ে বসে আছো! এটা তো একদম পাগলামি!" পরবর্তীতে পুলিশ এসে ক্রেইগ নেলসনকে আটক করে।
তবে হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখনও শঙ্কা রয়েছে জামিল রিদের। তিনি বলেন, "ব্যাগেজ ক্লেইমে গিয়ে আপনি কোনোরকম বাধা ছাড়াই হয়তো অন্য একজনের লাগেজ নিয়ে নিলেন, কেউ কিছু বুঝতেও পারবে না।"
ডব্লিউএসবি-টিভিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, তদন্তের সময় তারা আটলান্টা পুলিশের সঙ্গেই ছিল।
গত বছর শক্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা স্যাম ব্রিন্টন বিমানবন্দরে এক নারীর ব্যাগ চুরির করার দায়ে চাকরিচ্যুত হন। লাগেজ হিরোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের প্রথমার্ধেই ইউএস এয়ারলাইনসে প্রায় ৬ লাখ ৯০ হাজার ব্যাগ ভুলভাবে হাত বদল হয়েছে।