৩১৭ কোটি টাকার সরকারি ঋণ পরিশোধ করলো পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য দেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে সরকারকে ৩১৭ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
বুধবার (৫ এপ্রিল) চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য গর্বের প্রতীক।"
অভ্যন্তরীণ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা এসেছে সহায়তা থেকে। বাকি ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
২০১৯ সালে এ চুক্তি সাক্ষর করে বিবিএ ও অর্থ বিভাগ। চুক্তির অধীনে সেতু বিভাগ এই অর্থ ৩৫ বছরের মধ্যে এক শতাংশ সুদে ফেরত দেবে।
সরকারি ঋণ পরিশোধ ২০৫৬-৫৭ অর্থবছরে সম্পন্ন হবে।
তফসিল অনুযায়ী, প্রতি অর্থবছরে সর্বনিম্ন ৮২৬ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৭৫ কোটি টাকা শোধ করা যাবে।
মোট ১৪০টি কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে এই ঋণ। এক্ষেত্রে, প্রতিটি কিস্তির পর ঋণের ব্যালেন্সের উপর সুদ গণনা করা হবে।
এছাড়া সেতু কর্তৃপক্ষ চাইলে সুদসহ অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করতে পারে। তবে, একটি কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সে বকেয়া পরবর্তী কিস্তির সাথে পরিশোধ করতে হবে।
চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, সেতু কর্তৃপক্ষ যাতে ঋণ পরিশোধ করতে পারে, সে লক্ষ্যে তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী টোলের হার নির্ধারণে সহায়তা করবে অর্থ বিভাগ।
পরামর্শ অনুযায়ী, এই টোলের হার প্রতি ১৫ বছরে ১০% করে বাড়বে। সেতু কর্তৃপক্ষ টোল রাজস্বের উপর পরামর্শকৃত হারে ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করবে।
পদ্মা সেতুর নকশার জন্য ২০০৮ সালের ১০ জুলাই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে তারা। এ ঋণের সুদহার ৬%।
২০ বছর মেয়াদী এই ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৫ বছর। সেতু কর্তৃপক্ষকে দুই শতাংশ সুদে ৩০ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ২০৩৬-৩৭ অর্থবছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এডিবির ঋণ।