প্রথমবারের মতো ভাসানচরে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা
প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের একটি ছোট দলকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার মিয়ানমার থেকে দালালদের মাধ্যমে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আটক প্রায় ৭০ রোহিঙ্গাকে প্রথমবারের মতো ভাসানচরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় দৈনিক সমকালের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আর জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে যারা শনিবার এসেছে, তাদের ভাসানচরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটাই হবে রোহিঙ্গাদের প্রথম কোনো দল, যাদের ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে।
প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গাবাহী একটি ট্রলার কয়েকদিন ধরেই সমুদ্রে ভাসছিল। এ সময় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এই রোহিঙ্গাদের নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখে। যদিও প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে নতুন করে রোহিঙ্গাদের নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু পরে ওই ৭০ জনকে নিতে হলো।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গা সংকটের চাপ আর বহন করা সম্ভব নয়। এটা উন্নত দেশগুলোর বোঝার কথা। তারা কেন অন্যান্য দেশকে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে বলছেন না। তারা কেন শুধু বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সংশ্নিষ্ট দেশ ও সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে।
সংশ্নিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, ছোট্ট একটি দলকে ভাসানচরে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানোর মূল কর্মসূচি শুরু হচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে যারা এসেছে তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত থাকতে পারে এ আশঙ্কা থেকেই এ দলকে মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয়নি। সতর্কতার অংশ হিসেবেই পাঠানো হচ্ছে ভাসানচর।