পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজিতে ৮০ টাকা, ২-৩ দিনের মধ্যে আমদানির সিদ্ধান্ত
পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে সম্প্রতি পৌঁছেছে প্রায় ৮০ টাকা কেজিতে। নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির শিকার জনতার ভোগান্তি তাতে আরো বেড়েছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.২৪ শতাংশ।
আজ রোববার (২১ মে) মগবাজার কাচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-র তথ্যমতে, দেশের বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ এক মাস আগেও প্রতিকেজির মূল্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তেমন কোনো সংকট দেখা দেবে কিনা এমন প্রশ্নের কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আরও ২-৩ দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ রোববার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, "আমি জানি সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমরা শেষপর্যন্ত কৃষকের স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গতবছর কৃষকেরা দাম কম পাওয়ায় এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় ২ লাখ টনের মতো। আমরা উচ্চপর্যায়ে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি। গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষেণ করছি। ২-৩ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কিনা।"
গত সপ্তাহে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আখতার বলেছিলেন, স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ায় পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ভাবছে সরকার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সরকারি প্রচেষ্টার ফলে দেশে গত দুই বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনের বেশি।
এ বছরে ৩৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। সে তুলনায়, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।
তবে যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ৩০-৩৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।