কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলে ছাড় থাকলেও বুকিং মাত্র ৫০%
বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজগুলোতে বিশেষ ছাড় চললেও আশানুরূপ বুকিং নেই।
তারকামানের হোটেলগুলোতে ছাড় চলছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যান্য হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজগুলোতে থাকছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়। কিন্তু এত বেশি ছাড় থাকলেও রুম বুকিং হয়েছে ৫০ শতাংশ।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ঈদুল আজহার পরদিন থেকে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নামবে।
সী গাল হোটেলের ম্যানেজার তারেক আজিজ বলেন, "এবারের ঈদুল আজহা পড়েছে বর্ষা মৌসুমে। এরইমধ্যে হোটেলের ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে, বাকিগুলো বুকিং হয়ে যাবে আশা করি। আর বর্ষা মৌসুমে পর্যটক কক্সবাজার এসে প্রকৃতির এক ভিন্ন রূপ দেখতে পাবে।"
হোটেল কক্স-টুডে'র ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, "বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এবাব ৪০ শতাংশ ছাড়ে রুম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে যেভাবে বুকিং হয়, এবার তা হয়নি। এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। আশা করি, আগামী দুই দিনের আশানুরূপ রুম বুকিং হবে।"
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদুল আজহার ছুটিতে তাদের আওতাধীন শতাধিক হোটেলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ঈদের পর দিন থেকে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।
অন্যদিকে, ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে যারা কক্সবাজার ভ্রমণে করবেন তাদের সমুদ্রস্নান ও পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণ নিরাপদ করতে কয়েক স্তরের ব্যবস্থা নিয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
সমুদ্রস্নানের নির্দেশনা ও লাইফ গার্ড কর্মীদের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, "ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগত হতে পারে। তাই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাগর যেহেতু উত্তাল থাকবে, তাই সৈকতে টহল, টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ ও বোট নিয়ে সাগরে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে লাইফ গার্ড কর্মীরা।"
"তবে পর্যটকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, ঈদের টানা ছুটিতে এসে সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামার আগে অবশ্যই লাল-হলুদ পতাকা চিহ্নিত স্থানে এবং লাইফ গার্ড রয়েছে এসব এলাকায় নির্দেশনা মেনে সমুদ্রস্নান করার," বলেন তিনি।
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, "পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সাগরপাড়, মার্কেট, হোটেল মোটেল জোন, পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপদে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"