বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাস ডুবিতে ৪ জনের লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াটার বাস ডুবির ঘটনায় রোববার (১৬ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রাতে বালু বোঝাই একটি বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে নদীতে ডুবে যায় ওয়াটার বাসটি।
নিহতদের মধ্যে একজন নারী, দুইজন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ কাজী মোঃ রশিদ-উন-নবী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর নদী থেকে আটজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; তাদের মধ্যে তিনজন অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং বাকিদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়।
খবর পেয়ে সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার কাজে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উদ্ধার তৎপরতা ত্বরান্বিত করতে কোস্টগার্ডের সদস্যরাও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন।
ওয়াটার বাসটি তীরের কাছে তলিয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
জানা যায়, ওয়াইজঘাট থেকে কেরানীগঞ্জের নগরমহলের দিকে যাচ্ছিল ওয়াটার বাসটি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।