ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করল ডিএনসিসি, সহজেই খুঁজে পাবেন স্বজনদের কবর
দাফন প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে এবং অনেক বছর পরও যাতে সহজেই মৃত ব্যক্তির কবর খুঁজে পাওয়া যায়, সেজন্য স্মার্ট ডিজিটাল কবর ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম আজ রাজধানীর গুলশান এলাকার নগর ভবন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
'গ্রেভইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ডিএনসিসি' (Graveyard Management DNCC) নামে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে কবরস্থানে না গিয়েও একজন সেবাগ্রহীতা অ্যাপটিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে লাশ দাফনের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। সেবাগ্রহীতা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করে লাশ নিয়ে নির্দিষ্ট কবরে দাফন করতে পারবেন।
এই অ্যাপের দ্বিতীয় ধাপে (ফেইজ ২) কবরস্থানে দাফন করা লাশের তথ্যভান্ডার থাকবে, পাশাপাশি দাফন সনদও সংগ্রহ করা যাবে।
এছাড়া বহু পুরোনো কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা রয়েছে, কোন পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর বসবে—কবরস্থান-সংক্রান্ত এমন যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এই অ্যাপে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে ৬টি স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে থাকছে। এই কবরস্থানগুলো হলো: বনানী কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, রায়ের বাজার কবরস্থান, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থান ও উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান। পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসি এলাকার সব কবরস্থানই এই ব্যবস্থার আওতায় আসবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের সফল বাস্তবায়নের পর সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।'
তিনি আরও বলেন, 'স্মার্ট সিটি' করার অংশ হিসেবে কবরস্থানকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য ডিএনসিসি কাজ করছে।
আতিকুল বলেন, 'এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরবর্তীতে কবরস্থানে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিন থাকবে, আমরা সেখানে দেখতে পাব কবরের তথ্য। এগুলোকে টোটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।'
ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআরবি নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ এবং সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও সিনিয়র ডিরেক্টর শামস এল আরেফিন, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।