৩৩টি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করলো ওয়াশিংটন
সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদনে সহায়তা এবং চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে, চীনের প্রায় কয়েক ডজন কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। যার মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণ দেখিয়ে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে নিষিদ্ধ করার ট্রাম্প প্রশাসনের চেষ্টা নতুন মাত্রা পেল।
পাশাপাশি মুসলিম উইঘুরদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধেও এটি ইতোপূর্বে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
তবে যুক্তরাষ্ট্র যাই বলুক না কেন, মূল কারণ কিন্তু হংকং। গতকাল শুক্রবার চীন স্বশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের ওপর নিজ নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে নতুন নিরাপত্তা আইন জারি করে। এর আওতায় হংকংয়ে এখন থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডদের জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা হবে। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্র ৩৩টি চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করার কথা জানায়।
মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে; সাতটি কোম্পানি ও দুটি ইনস্টিটিউডকে তালিকায় রাখা হয়েছে উইঘুরদের ওপর চীন সরকারের চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিগ্রহ, নির্যাতন এবং অপমানের সহায়ক হিসেবে জড়িত থাকার কারণে। আরও দুই ডজন কোম্পানি এবং চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক সংস্থাকে সামরিক বাহিনীর জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং উৎপাদনে জড়িত থাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রধান কারণ আসলে হয়তো বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়তই বিশ্ব বাজারে চীনা পণ্যের আধিপত্য বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনভিডিয়া এবং ইন্টেল নামক দুটি প্রযুক্তি জায়ান্ট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং চেহারা শনাক্তের সফটওয়্যার তৈরিতে সম্প্রতি বড় অংকের বিনিয়োগ করেছে। আর এই দুই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণাকারী চীনা প্রতিষ্ঠান আছে ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক নিষিদ্ধের তালিকায়।