বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির প্রতিবাদে পাকিস্তানে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট
জাতীয় নির্বাচনের আগে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির কারণে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আর এতে দেশজুড়ে হাজারও ব্যবসায়ী দোকানপাটে তালা দিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) লাহোর, করাচি এবং পেশোয়ারে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে 'অযৌক্তিকভাবে' বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
লাহোরের টাউনশিপ ট্রেডার্স ইউনিয়নের সভাপতি আজমল হাশমি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, "সবাই (ধর্মঘটে) অংশগ্রহণ করছে, কারণ পরিস্থিতি এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে।"
"কিছু ছাড় দিতে হবে, যাতে মানুষ অন্তত খাবার যোগাড় করতে পারে," বলেন তিনি।
কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনা এবং অস্থিতিশীলতা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে প্রায় ভঙ্গুর করে দিয়েছে। ফলে খেলাপি হওয়া এড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে দেশটি।
আইএমএফের সাহায্য পেতে পাকিস্তান সরকারকে মানতে হচ্ছে বেশকিছু শর্ত। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোসহ পেট্রোল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো। আইএমএফের এঁকে দেওয়া ছক অনুযায়ী পাকিস্তান সরকারকে কৃচ্ছ্রতার নীতি মেনে চলতে হচ্ছে। আর এতে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ।
এদিকে, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার বলেছেন, নাগরিকদের বাড়তি বিল পরিশোধ করতে হবে, কারণ 'এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই'।
"ভর্তুকি দেওয়া মানে, আর্থিক বাধ্যবাধকতাগুলোকে ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখা। সমস্যাটি সমাধান করার পরিবর্তে, এর মাধ্যমে আপনি কেবল এটি বিলম্বিত করছেন," ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের এ কথা বলে কাকার।
এ সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির পরে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পেট্রোলের দাম ৩০০ রুপি ছাড়িয়েছে। এতে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির জনগণের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
এছাড়া, গেল আগস্টে দেশটির মূল্যস্ফীতি ২৭.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এবং জুলাইয়ে গাড়ির জ্বালানি বাবদ ব্যয় বেড়েছে অন্তত ৮ শতাংশ।