জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চায় তৃণমূল বিএনপি
বর্তমান কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চায় তৃণমূল বিএনপি। এছাড়া ডিসি-এসপিদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনা মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকে তৃণমূল বিএনপি এমন প্রস্তাব দেয়।
বৈঠক শেষে দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, "আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তৃণমূল বিএনপি। তবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন চায় না। কমিশনকে জনগণের আস্থায় আনতে হবে।"
তিনি বলেন, "নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরেক্ষভাবে নির্বাচন কাজে নিয়োজিত যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এরকম প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকতে হবে। বিশেষ করে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনও বদলী সহ প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে।"
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যেসকল দল নির্বাচনে অংশ নিবে তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে কমিশন। তৃণমূল বিএনপির আগ্রহের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় তারা নির্বাচন কমিশন বরাবর ১২টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন।
প্রস্তাবের মধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের আইনগত যে সমস্ত দিক রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশেষ করে ভোট কেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ, ভোট কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ফলাফল, প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের কাছে ফলাফল হস্তান্তর।
এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে ভোটগ্রহণকালে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য তারা জোরালো দাবি করেছেন।
কমিশন আশ্বস্ত করেছেন যে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সমস্ত দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত থেকে শুরু করে সুষ্ঠু এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে কমিশন বদ্ধপরিকর।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রধানতম বাধা আইনশৃঙ্খলা প্রশাসন, সেটার নিয়ন্ত্রণে ইসির ভূমিকা জানতে চাইলে সচিব বলেন, "প্রথম হচ্ছে আইন এবং সংবিধানের আলোকে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কমিশন সেই ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করবে এবং বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে মর্মে কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে।"