হামাসকে পুতিনের সাথে তুলনা করলেন বাইডেন
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তুলনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ওয়াশিংটনের ওভাল অফিস থেকে পূর্ব নির্ধারিত এক ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বাইডেন ইসরায়েল সফর শেষে সদ্য দেশে ফিরেছেন। তার এরপরেই তিনি এই ভাষণে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলোর সঙ্গে ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থনের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
ভাষণে জো বাইডেন বলেন, "হামাস এবং পুতিন ভিন্ন ভিন্ন হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে। তবে তাদের উদ্দেশ্য একই। উভয়ই প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে চায়।"
গাজা ও ইসরায়েলে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বাইডেন। তিনি বলেন, "গাজায় হাসপাতালে বিস্ফোরণে যারা মারা গেছে তাদেরসহ ফিলিস্তিনি জীবনের মর্মান্তিক ক্ষতিতে আমি দুঃখিত। তবে এটি (হাসপাতালে হামলা) ইসরায়েলিরা ঘটায়নি।"
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মস্কোকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে আসছে ওয়াশিংটন। তারই ধারাবাহিকতায় বাইডেন বলেন, "ইউক্রেন যে বিশ্ব মানচিত্রে একটা প্রকৃত রাষ্ট্র, সেটা পুতিন সবসময়ই অস্বীকার করে আসছে।"
মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে বাইডেন বলেন, "আমি জানি যে, চলমান সংঘাতগুলো আপনাদের কাছে বেশ দূরের সমস্যা বলে মনে হচ্ছে। তাই আপনাদের এটি জিজ্ঞাসা করা স্বাভাবিক যে, কেন এটি মার্কিনীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?"
জবাবে বাইডেন বলেন, "ইসরায়েল এবং ইউক্রেনের সফলতা নিশ্চিত করা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি ইউক্রেনে ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য পুতিনের ক্ষুধা বন্ধ না করি; তবে তিনি নিজেকে শুধু ইউক্রেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না।"
বাইডেন জানান, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষায় ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি কংগ্রেসের কাছে তেল আবিবের জন্য বাড়তি অর্থায়নের অনুমোদন চাইবেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, এই অর্থের পরিমাণ হবে এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ইসরায়েলকে বছরে ৩২০ কোটি ডলার সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হতে যাচ্ছে বাড়তি বিপুল অঙ্কের এই সহযোগিতা।
তবে বাইডেন বলেন, "৯/১১ এর পর যুক্তরাষ্ট্র যে ভুল করেছিল, ইসরায়েলেরও সেই একই ভুল করা উচিত নয়।" আমেরিকানরা সেসময় 'ক্রোধে অন্ধ' হয়ে গিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, "ফিলিস্তিনিদের মর্যাদার অধিকার এবং আত্মসংকল্পের অধিকারের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"