আবারও দেশে ফেরায় লিটনের ওপর ক্ষেপেছে বিসিবি
দলের স্বার্থে, নিজের ব্যাটিং উন্নতিতে দেশে ফিরে অনুশীলন করেও চরম সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। অনুশীলনের পর মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় 'ভুয়া, ভুয়া' দুয়োধ্বনি শুনতে হয় তাকে। অধিনায়কের দেশে ফেরার ঘটনায় সম্মতি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। পরে লিটন কুমার দাসকেও দেওয়া হয় দেশে ফেরার অনুমতি। কিন্তু কদিনের মাথায় আবারও দেশে ফেরায় ডানহাতি ওপেনারের ওপর চটেছে বিসিবি।
বিশ্বকাপের মাঝেই দুবার দেশে ফিরলেন লিটন। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর কলকাতা থেকে দেশে ফেরেন তিনি, একদিন পর ভারতে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে চোট পাওয়া সাকিব মঙ্গলবার দেশে ফিরে এসেছেন, তার সঙ্গে এসেছেন লিটনও। কদিনের মাথায় আবারও দেশে ফেরায় তার ওপর বিরক্ত বিসিবি। কালকের মধ্যে পুনেতে ফিরে তাকে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও তার দ্বিতীয়বার দেশে ফেরার ব্যাপারটি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি বিসিবি। টিম ম্যানেজম্যান্টের সদস্যদের কেউ কেউ তার এই সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফেরার জন্য প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের কাছে ছুটি যান লিটন। লঙ্কান কোচ জানান, তার আপত্তি নেই; তবে দেশে ফিরতে হলে তাকে বিসিবির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
দলের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকে ছুটি চাওয়ার বিষয়টি জানান লিটন। বিসিবির এই পরিচালক যোগাযোগ করেন দেশে। আলোচনা করে সুবজ সঙ্কেত মেলায় লিটনকে ছুটি দেন খালেদ মাহমুদ। যদিও এই আলোচনা স্বাভাবিক ছিল না। লিটন দ্বিতীয়বার দেশে ফিরতে ছুটি চাইলে বিসিবি থেকে আপত্তি তোলা হয়, না করে দেওয়া হয়। খালেদ মাহমুদ বিষয়টি নিজের মতো সামলে তাকে ছুটির ব্যবস্থা করে দেন।
নিয়ম মেনেই সব হয়েছে, কিন্তু কদিনের মাথায় দুবার দেশে ফেরায় লিটনের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবির অনেকেই। দলের খারাপ সময়ে এভাবে বারবার দেশে ফেরার ব্যাপারটিকে তার 'অজ্ঞতা' মনে করেন কেউ কেউ। এ কারণে তাকে বারবার করে বলে দেওয়া হয়েছে কালকের মধ্যেই পুনেতে গিয়ে অনুশীলনে যোগ দিতে। আগামী ১১ নভেম্বর পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ, এই ম্যাচের আগে নির্দেশনা মতো অনুশীলনে যোগ না দিলে লিটনের ব্যাপারে কঠোরও হতে পারে বিসিবি।