বাংলাদেশি পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে বিজিএমইএর চিঠি
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) সভাপতি স্টিভেন ল্যামারের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) বাংলাদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় প্রত্যাশা করেছে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান চিঠিতে লেখেন, এই খাতে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য জাহাজিকরণ করা হবে, নতুন মজুরির আলোকে তার মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক, জুতা কোম্পানি ও তাদের সরবরাহকারীদের জাতীয় পর্যায়ের একটি বাণিজ্য সংগঠন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এখন থেকে নতুন ন্যূনতম মজুরির সাপেক্ষে সমস্ত ব্যবসায়িক আলোচনা ও চুক্তি সম্পন্ন হবে।
চিঠিতে তিনি লিখেন, "এএএফএর সদস্যবৃন্দ যেন যথাযথ বিবেচনার সঙ্গে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের বিষয়টি বিবেচনা ও তাদের সহযোগিতা করেন।"
ল্যামারকে দেওয়া চিঠিতে বিজিএমইএ প্রধান জানান, সরকার গত ৭ নভেম্বর গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ২০২৩ সালের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেছে।
ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক পেশ করা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ঘোষণাটি আসে এবং শ্রমিকপক্ষ ও নিয়োগকর্তাদের প্রতিনিধি সহ অংশীদারদের সম্মতিতেই এটি গৃহীত হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।
নতুন ন্যূনতম মজুরি নীতি অনুযায়ী, সপ্তম গ্রেডের শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, যা ১১৩.৬৩ মার্কিন ডলারের সমতুল্য। শ্রমিকদের মোট মজুরি বেড়েছে ৫৬.২৫ শতাংশ। এবার শ্রমিকদের মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে মোট মজুরির ৬৩.৪১ শতাংশ।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, নতুন ন্যূনতম মজুরি এমন এক সময়ে ঘোষণা করা হয়েছে, যখন বৈশ্বিক আর বাংলাদেশের অর্থনীতি-উভয়ই একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।