ডায়াগনস্টিক ব্যবসায় আসছে রেনেটা
অনুকূল ব্যবসা সম্ভাবনার প্রত্যাশায় ডায়াগনস্টিক ব্যবসায় আসছে দেশের নেতৃস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড।
অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি স্থাপনে ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন রোডে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
রেনেটা মূলত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ উৎপাদন করে। গবাদী পশুর জন্য ওষুধ উৎপাদনের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান রেনেটা।
যাইহোক, স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে ওষুধ প্রস্তুতকারক রেনেটা ডায়াগনস্টিক ব্যবসায় প্রবেশ করছে, যা কোম্পানির ব্যবসা পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করবে বলে মনে করছে কর্মকর্তারা।
এদিকে, রোববার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত রেনেটার তথ্যানুযায়ী, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩৬.৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ শতাংশ জমি কেনার অনুমোদন দিয়েছে।
কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচিত স্থানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশের দুটি প্রধান স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বারডেম জেনারেল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর খুব কাছেই অবস্থিত।
ফলে রোগীরা খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে পারবে।
রেনেটার কোম্পানি সেক্রেটারি মো. জুবায়ের আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "রোগ শনাক্ত করতে কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, যারমধ্যে কিছু পরীক্ষা দেশে সম্ভব নয়। ফলে প্রতিবেশী দেশে যেতে হয়, যা ব্যয়বহুল।"
তিনি বলেন, "রোগীদের এই ঝামেলা কমাতে এবং রেয়ার (সচরাচর হয় না এমন) কিছু পরীক্ষার পাশাপাশি সব ধরনের পরীক্ষা করা হবে এই ডায়গনিস্টিক ল্যাবরেটরিতে, যেন রোগীদের দেশের বাইরে যেতে না হয়।"
"বর্তমানে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক টেস্টিং সিস্টেমে অনেক পিছিয়ে আছি আমরা, তাই এই শূন্যতা পূরণ করতে চাই," যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় দেড় হাজার প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদানে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে– ল্যাবএইড, পপুলার, প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট এবং প্রভা হেলথ।
রেনেটার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, রেনাটা দেশের চতুর্থ বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এবং পশুর ওষুধ তৈরিতে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
রেনেটা প্রায় ১৬টি দেশে তার পণ্য রপ্তানি করে।
রেনেটা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, পূর্ণাভা এবং রেনেটা অঙ্কোলজি নামে তিনটি সংস্থা রয়েছে রেনেটা লিমিটেডের মালিনাকানাধীন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে, কোম্পানির রাজস্বে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও মুনাফা কমে যায় ৫৪ শতাংশ। শেয়ারহোল্ডারদের ৬২.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে রেনেটা।