‘চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছিলাম, হয়েছি’
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। ফাইনালে তাদেরকেই হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছে তারা। শিরোপা জয়ের পথচলায় একটি ম্যাচও হারেনি বাংলাদেশ, রোববার তাদের মাথায় উঠেছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের মুকুট। শিরোপা জয়ের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি জানালেন, চ্যাম্পিয়ন হতেই দুবাই গিয়েছিলেন তারা, সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে তাদের।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকেট কাটে আরব আমিরাত। যদিও শিরোপার লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক দলটি। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একপেশে ম্যাচে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে আরব আমিরাতকে হারায় বাংলাদেশ। রানের হিসাবে এটাই এবারের আসরের সবচেয়ে বড় জয়।
টুর্নামেন্টজুড়ে রানের ফোয়ারা বইয়ে আসা আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলামের হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৮২ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে রোহানাত বর্ষণ, মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন, পারভেজ জীবনদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে মাত্র ২৪.৫ ওভারে মাত্র ৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় আরব আমিরাত। দলটির মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৫।
শিরোপা জিততে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে রাব্বি বলেছিলেন, 'বাংলাদেশ কখনও আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জেতেনি। আমরা যদি জিততে পারি, তবে এটা অনেক বড় অর্জন হবে দেশের জন্য।' বড় অর্জন এখন তাদের মুঠোয়, জেতার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, 'আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ। তারা সত্যিই অনেক ভালো খেলেছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল এই ম্যাচটি জেতার। আমরা এখানে চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছিলাম, হয়েছি।'
১২৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন আসরের সর্বোচ্চ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া শিবলি। রিজওয়ানের দায়িত্বশীল ৬০ রানের সঙ্গে আরিফুলের ঝড়ো ৫০, শেষ দিকে তাণ্ডব চালান রাব্বি। নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে যুব দলের অধিনায়ক বলেন, 'তারা খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। আপনি যদি বড় সংগ্রহ গড়তে পারেন, প্রতিপক্ষ চাপে পড়বেই। আমার জন্য ব্যাটিংয়ের কাজটা আজ তুলনামূলক সহজ ছিল। দলের সবাই জানে তার কাজটা কী।'
যেকোনো দলের ভালো খেলার বড় অনুপ্রেরণা ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থন। আজ ফাইনালে সেটা পেয়েছেন রাব্বি-শিবলিরা। দুবাইয়ে থাকা অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিই গ্যালারিতে বসে গলা ফাটিয়েছেন তাদের জন্য। রাব্বি অবশ্য মনে করে সবাইকেই ধন্যবাদ জানালেন, 'বাংলাদেশে আমাদের যতো সমর্থক আছে, এখানে ম্যানেজমেন্ট আছে, সতীর্থ; সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। ইনশা আল্লাহ সামনে আমরা আরও ভালো কিছু করব।'