বাটার চিকেনের আবিষ্কারক কে? এবার বিতর্কিত এ বিষয়ের উত্তর দেবেন ভারতের আদালত
বাটার চিকেন – ভারতের অন্যতম প্রিয় একটি খাবার। রান্নাঘরের স্টোভ থেকে রেস্তোরাঁর প্লেট; সব জায়গার এর দেখা মেলে।
কিন্তু বাটার চিকেনের রেসিপি কার আবিষ্কার তা দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত এক বিষয়। অবশেষে এ বিতর্ক পৌঁছে গেছে দেশটির আদালতেও।
দিল্লির দুটি রেস্তোরাঁ দাবি করেছে আদি বাটার চিকেনের রেসিপি তাদের রেস্তোরাঁ থেকেই প্রথম শুরু হয়েছে। এ দ্বন্দ্ব এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
মোতি মহল রেস্তোরাঁর মালিকপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করেছে। দিল্লির ঐতিহ্যবাহী এ রেস্তোরাঁয় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও খেয়েছেন বলে দাবি করে মোতি মহল কর্তৃপক্ষ।
মোতি মহলের মালিক গুজরাল পরিবারের দাবি অনুযায়ী, এ পরিবারের পূর্বপুরুষ কুন্দন লাল গুজরাল বাটার চিকেন প্রথম তৈরি করেন। দেশভাগের আগে পেশওয়ারে (বর্তমানে পাকিস্তানে) মোতি মহল চালু করেছিলেন কুন্দন। সাতচল্লিশের পর তিনি রেস্তোরাঁ দিল্লিতে নিয়ে আসেন।
পরিবারটির দাবি, ১৯৩০-এর দশকে কুন্দন লাল গুজরাল তন্দুরির বেঁচে যাওয়া মুরগির সদ্বব্যহার করতেই মাখন, ক্রিম, টমেটো দিয়ে বাটার চিকেন তৈরি করেছিলেন।
মোতি মহলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনীষ গুজরাল রয়টার্সকে বলেন, 'অন্যের লেগেসি এভাবে নিয়ে নেওয়া যায় না … আমাদের দাদা যখন পাকিস্তানে ছিলেন তখন এ খাবারটি আবিষ্কার করেন।'
তবে প্রতিদ্বন্দ্বী রেস্তোরাঁ দরিয়াগঞ্জও দাবি করেছে, বাটার চিকেনের উৎপত্তি তাদের হাত ধরেই। এ রেস্তোরাঁর মালিকপক্ষের দাবি, কুন্দন লাল গুজরাল যখন ১৯৪৭ সালে মোতি মহল দিল্লিতে স্থানান্তর করেন, তখন তাদের আত্মীয় কুন্দন লাল জাগ্গি গুজরালের সঙ্গে কাজ করেছিলেন।
আর তখনই বাটার চিকেন প্রথম বানানো হয়। আর এ কারণেই বাটার চিকেনের সূচনাকারী হিসেবে তাদের রেস্তোরাঁর নাম দাবি করেছে দরিয়াগঞ্জ। এমনকি ২০১৮ সালে এ দাবির পক্ষে ট্রেডমার্ক নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে অধিকারের দাবির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ হিসেবে গুজরাল পরিবার দুই লাখ ৪০ হাজার ডলারও দাবি করেছে।
তবে ভারতের আদালতের কার্যক্রমের গতি যে পরিমাণ ধীর, তা-তে এ পদটির আবিষ্কারকের বিতর্ক শেষ হতে আরও কয়েক মাস-কি-বছরও লাগতে পারে। এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে মে মাসে।