২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুতে সরকার ও ইউএনএইচসিআর প্রস্তুত
রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে ২২ আগস্ট থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) দপ্তর ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ প্রস্তুতির সকল বিষয় খতিয়ে দেখছেন বলে সোমবার (১৯ আগস্ট) এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
প্রথম পর্যায়ে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার ১ হাজার ৩৮ পরিবার থেকে ৩ হাজার ৯৯৯ জনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে।
এদিকে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের যে তালিকা চূড়ান্ত করেছে, ইউএনএইচসিআর ওই তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের আজ (মঙ্গলবার) থেকে সাক্ষাৎকার নেবে। তারা (রোহিঙ্গারা) রাখাইনে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চায় কি না, সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হবে।
বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী মিয়ানমারে থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। যাদের মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বেশি প্রবেশ করেছে।
দ্বি-পাক্ষিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চাওয়া বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের সাথে প্রথম একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৬ মে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামে আরও একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ওই চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার প্রত্যশা করা হয়েছিল।
চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ১৫ নভম্বর প্রথম পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি রাখাইনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে তা থেমে যায়।