পেনশন স্কিমে উৎসে কর প্রত্যাহারের সুপারিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ব্যাংক হিসাবের উৎসে কর ও আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর পেনশন স্কিমের চাঁদায় বিনিয়োগে কর রেয়াতি সুবিধা ও পেনশন বাবদ উদ্ভুত আয়কে করমুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ পর্যায়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ব্যাংক হিসাবগুলো উৎসে কর ও আবগারি শুল্ক মওকুফ করা প্রয়োজন। কারণ পেনশন স্কিমের এ কল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতার জমাকৃত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত মুনাফাসহ পেনশনের অ্যানুইটি দেওয়া হবে।
বর্তমানে ব্যক্তি, কোম্পানি বা ফান্ড নির্বিশেষে ব্যাংক হিসাবের স্থিতি অনুযায়ী আবগারি শুল্ক কাটা হয়ে থাকে। এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতি থাকলে আবগারি শুল্ক কাটা হয় না। ১-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দেড়শ টাকা, ৫-১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা, ১০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা, ১-৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি স্থিতির জন্য ৫০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয় ব্যাংকগুলো।
বছরের যেকোনো সময় সর্বোচ্চ স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক আদায় করা হয়। অন্যদিকে ব্যাংক আমানতের বিপরীতে সুদ আয় বা সঞ্চয়পত্রের সুদ আয় থেকে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হয়। যদি করদাতা রিটার্ন জমার স্লিপ জমা না দেন তাহলে ১৫ শতাংশ উৎসে কর কাটা হয়।
গত ২ অক্টোবর 'পেনশন স্কিমে কর ছাড়ে ধোঁয়াশা' শিরোনামে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়, নতুন আয়কর আইনের ষষ্ঠ তফশিলে (কর অব্যাহতি, রেয়াত ও ক্রেডিট) পেনশন স্কিমের চাঁদার কথা উল্লেখ না থাকায় অংশগ্রহণকারী কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদার বিপরীতে কর রেয়াত পাওয়া নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর পেনশন স্কিমের চাঁদায় বিনিয়োগে কর রেয়াতি সুবিধা ও পেনশন বাবদ উদ্ভুত আয়কে করমুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।