বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশে সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি।
আজ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় ফারুক খান সুইজারল্যান্ডের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'আমরা আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ডের মাঝে এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হবে। এরপর আমরা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করব।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করছি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ ও নতুন টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সব বিমানবন্দরের এভিয়েশন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, আগামী অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল চালু হওয়ার পর আকাশপথের বিদ্যমান যাত্রী সংখ্যা ও কার্গোর পরিমাণ কয়েক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হবে।'
পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, 'বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছরেই তার বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়াও আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরো বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। সেখানে সুইজারল্যান্ড বিনিয়োগ করলে আমরা তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা দেব। পাশাপাশি আমরা ভিসা সহজীকরণ ও ই-ভিসা চালু করা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কাজ করছি।'
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ টিম নেগোসিয়েশনে প্রশংসনীয় দক্ষতা দেখিয়েছে। তাদের দক্ষতা ও সহযোগিতার জন্য সুইজারল্যান্ডের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা আশা করছি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ চলছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলব।'