বিশ্লেষণধর্মী গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাখিল করে পুরস্কৃত হলেন পুলিশ কর্মকর্তা
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম- সেবা), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক পেয়েছেন।
মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ২০০৫ সালের ২ জুলাই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগ দেন। তিনি ২০২০ সালের ২৯ জুন বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে এসবিতে যোগদান করে নিম্নলিখিত কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেছেন:
বিশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রস্তুত: তিনি ২৪/৭ সময়ব্যাপী ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিয়মিত ওপেন সোর্স পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনসহ স্পর্শকাতর চাঞ্চল্যকর বিষয় সংক্রান্তে গোয়েন্দা প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করেন। আলোচ্য সময়ে এ সংক্রান্ত ৯৬টি বিশ্লেষণধর্মী গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেন তিনি।
এছাড়াও বিদেশে অবস্থানরত রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী গোষ্ঠীর বিভিন্ন অপপ্রচার সংক্রান্ত বিষয়, পাবর্ত্য অঞ্চলে অসন্তোষ, রোহিঙ্গা ইস্যু, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের অনুপ্রবেশ, জঙ্গি তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে অনিয়ম, ডলার সংকট, পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশ বিভাগ নিয়ে অপপ্রচারসহ ২৩টি বিষয়ে আগাম বিশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাখিল করেন-- যা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত দেশি-বিদেশি অপপ্রচারকারীদের কার্যক্রম মনিটরিং ও প্রোফাইল প্রস্তুতকরণ: তিনি দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচারকারী ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য ও ভিত্তিহীন অডিও-ভিডিও প্রচার করে গণঅসন্তোষ সৃষ্টিসহ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অপচেষ্টায় লিপ্ত ব্যক্তিদের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করে প্রোফাইল প্রস্তুতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
এছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী বিতর্কিত গণমাধ্যম ব্যক্তি ও ধর্মীয় উসকানি প্রদানকারীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে প্রোফাইল প্রস্তুত করেন।