নিখোঁজের ১০ বছর পরে আবারো এমএইচ ৩৭০ প্লেনের অনুসন্ধান শুরু করতে পারে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রী অ্যান্থনি লোক রবিবার (৩ মার্চ) জানিয়েছেন, নিখোঁজের ১০ বছর পর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ এর জন্য নতুন করে অনুসন্ধান শুরু হতে পারে।
তিনি বলেন, "মালয়েশিয়ার সরকার আবারো অনুসন্ধানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নতুন করে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে।"
২০১৪ সালের ৮ মার্চ বিমানটি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে যাওয়ার সময় ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল।
অ্যান্থনি লোক জানিয়েছেন, সমুদ্রতলে অনুসন্ধান চালানো মার্কিন সংস্থা ওশান ইনফিনিটি অতীতে বিমানটি খুঁজে পাওয়ার জন্য দুইবার চেষ্টা করার পর আবারো অনুসন্ধান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
পরিবহণ মন্ত্রী আশা করছেন, মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভায় ওশেন ইনফিনিটির এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলেই অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতায় অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।
ওশান ইনফিনিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে নিখোঁজ বিমানটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল এবং বিমানটি খুঁজে পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সরকার ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।
২০১৭ সালে, মালয়েশিয়া, চীন এবং অস্ট্রেলিয়াও দুই বছরের অনুসন্ধানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল। এই অনুসন্ধান চালাতে প্রায় ২০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) খরচ হয়েছিল।
এদিকে রবিবার এমএইচ ৩৭০ বিমানে থাকা যাত্রীদের প্রায় ৫০০ স্বজন ও সমর্থকেরা তাঁদের স্মরণ করতে কুয়ালালামপুরের কাছের একটি বিপণনকেন্দ্রে জড়ো হয়েছিলেন। এই স্বজনদের কেউ কেউ আসেন চীন থেকে। তাদের অনেকেই পুনরায় বিমানটির অনুসন্ধান চালানোর দাবি জানিয়েছেন।
বিমানটির সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল যখন পাইলট জাহারি আহমদ শাহ মালয়েশিয়ার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে বিদায় জানিয়ে ভিয়েতনামের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু তার কাছ থেকে কোন বিপদের বা অন্য কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও চীনের পক্ষ থেকে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অঞ্চলে ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকায় অনুসন্ধান চালানোর পরেও প্লেনটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে অনুসন্ধানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এ সময় বিমানটির কিছু ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। বিমানটির কিছু ধ্বংসাবশেষ আফ্রিকার উপকূল বরাবর ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলোতে ভেসে এসেছিল যার মধ্যে ফ্ল্যাপেরন নামে পরিচিত ২ মিটার (৬.৬ ফুট) ডানার কিছু অংশ ছিল।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়