ভৈরবে ট্রলারডুবি: আরও ২ জনের মরদেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ ৬ জন
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের থাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভেতর থেকে শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডু্বুরিরা মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে।
নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। তাদের আনুমানিক বয়স যথাক্রমে ৩০ ও ১০ বছর। তবে এখনও তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক জানান, সকাল সোয়া ৮টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন ডুবুরি নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর নদীর মাঝখানে ডুবে যাওয়া স্থানের অদূরে ট্রলারটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর ট্রলারের ভেতর থেকে দুইজনের মরদেহ বের করে আনেন ডুবুরিরা। নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারটি ভৈরবের পার্শ্ববর্তী আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর গ্রাম থেকে ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় সুবর্ণা বেগম নামে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা।
তবে ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হন ট্রলারের যাত্রী, ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল মো. সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি এবং দুই সন্তান ইভা ও রাইসুলসহ মোট আটজন।