পানির চাহিদা মেটাতে মেঘনা নদীর সম্ভাবনা, এডিবি’র গুরুত্বারোপ
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ঢাকাবাসীদের পানির বিকল্প উৎস হিসেবে মেঘনা নদীর সম্ভাবনা যাচাইয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
আন্তজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও দূষণের প্রেক্ষিতে রাজধানীর বর্তমান খাবার পানি সরবরাহের নাজুক অবস্থা তুলে ধরেছে।
এডিবি ‘মেঘনা নদী সুরক্ষা: ঢাকার জন্য একটি টেকসই পানির উৎস’ শীর্ষক ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকায় দাতা সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে মেঘনা নদী কি কি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে তা তুলে ধরে নদীটি যেন একটি টেকসই ও নিরাপদ খাবার পানির উৎস হতে পারে, তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মতে ক্রমবর্ধমান চাহিদার চাপ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ও পরিকল্পনাকারীদের বিকল্প খাবার পানির উৎস খুঁজতে বাধ্য করছে।
ঢাকার আশপাশের ভূপৃষ্ঠস্থ পানি ব্যাপকভাবে দূষিত এবং বর্তমান চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পানি শহরটির ভূগর্ভে নেই। অধিকন্তু ইতোমধ্যেই পানি সংকটে বিপর্যস্ত শহরটিতে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এর পানির চাহিদার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
সৌভাগ্যজনকভাবে, মেঘনা নদী পানির এই উৎসের একটি টেকসই সমাধান। নদীটি ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। আগামী বছরগুলোতে এখান থেকে ঢাকার দুই কোটি বাসিন্দার পানির চাহিদার ৪০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পানিকে দূষণ থেকে রক্ষা ও পানির গুণগত মান বজায় রাখতে মেঘনা নদীতে সরকারের জোরালো পর্যবেক্ষণ ও বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দিয়েছে এডিপি।
মেঘনা নদী এলাকায় নতুন ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে অবশ্যই স্টেট-অব-দ্য-আর্ট প্রোডাকশন পদ্ধতি থাকতে হবে। পাশাপাশি নদীতে বর্জ্য কমাতে পর্যাপ্ত ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থা অথবা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি এফলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি)ও থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।