চীন থেকে আসা জাহাজের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন আদেশ প্রত্যাহার
চীন থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে আসা জাহাজকে নোভেল করোনাভাইরাসের কারণে দেওয়া ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের আদেশ প্রত্যাহার করেছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর।
ফলে চীন থেকে চট্টগ্রাম এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরে আসা জাহাজগুলোকে জেটিতে ভেড়ার জন্য আর ১৪ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।
চীনে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারন করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই দেশ থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে আসা জাহাজকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের আদেশ দিয়েছিল নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। পাঁচ মাস ছয় দিন পর ১২ জুলাই সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, দেশের নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবসা এবং পরিবহন খরচ কমিয়ে আনতে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় চীনের বন্দর থেকে আসা জাহাজের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন চীন থেকে আসা সকল জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারবে।
চট্টগ্রাম বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতাহার হোসেন বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের বন্দর ছুঁয়ে আসা জাহাজ ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বর্হিনোঙ্গরে জাহাজের নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জাহাজ জেটিতে ভেড়ার অনুমতি দেওয়া হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের উপ সংরক্ষক (ডেপুটি করজারভেটর) ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম বলেন, একটি জাহাজ চীন থেকে যাত্রা শুরুর পর চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ১৪ দিন পার হওয়া পর্যন্ত ওই জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অপেক্ষায় থাকতে হতো।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তর কোয়ারেন্টিনের আদেশ প্রত্যাহার করায় চীন থেকে আসা জাহাজ বার্থিং শিডিউল অনুযায়ী জেটিতে ভিড়তে পারবে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের কারণে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল শিপিং এজেন্টগুলো। প্রতিদিনের জন্য জাহাজকে ১০ থেকে ১২ হাজার ডলার ডেমারেজ চার্জ পরিশোধ করতে হতো। এর প্রভাব পড়ে আমদানি পণ্যের মূল্যের ওপর।
এই আদেশের ফলে ব্যবসায়ীদের খরচ কমে আসবে। স্বাভাবিক হবে বৈদেশিক বাণিজ্য।