আবারও আটকে গেল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
‘ব্যাপক প্রস্তুতির’ পরও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে আবারও আটকে গেল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন।
বৃহস্পতিবার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, “রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় আজ প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না।”
এর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় বাংলাদেশ। ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি জোরদার করা হয় সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, প্রত্যাবাসনের জন্য ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গাকে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকায় থাকা ২৩৫ রোহিঙ্গা পরিবারের সাক্ষাৎকারও নেয়া হয়। ইউএনএইচসিআর এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিরা ক্যাম্পে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেন।
আরআরআরসি কমিশনার আবুল কালাম তখন বলেন, “বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বৃহস্পতিবার প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ৫টি বাস ও ২টি ট্রাক সকাল থেকে টেকনাফের শালবন ক্যাম্পে থাকবে। এ প্রক্রিয়াকে নিরাপদ করতে ক্যাম্প ও সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
পরে নানা প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। দুই বছরের মধ্যে সবাইকে ফেরত নেয়া শেষ হয়ার কথা। কিন্তু দুবছরে একজন রোহিঙ্গাও যাননি। গত বছরে নভেম্বরে প্রথম পর্যায়ে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে সেবারও তা আটকে যায়।