আসছে ‘ম্যাট্রিক্স-ফাইভ’; নিও চরিত্রে কে থাকবেন এবার? কিয়ানু রিভস নাকি অন্য কেউ?
১৯৯৯ সালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর চলচ্চিত্র 'দ্য ম্যাট্রিক্স'। কিয়ানু রিভস অভিনীত বেশ জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি এটি। এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বশেষ ছবি 'দ্য ম্যাটিক্স রিসারেকশনস' বক্স অফিসে খুব একটা সাফল্য না পেলেও আসতে যাচ্ছে এর পঞ্চম কিস্তি।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে 'ম্যাট্রিক্স ফাইভ'-এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। সিনেমাটি নির্মাণ করবেন অস্কারজয়ী পরিচালক 'দ্য মার্শিয়ান'-এর ড্রিউ গডার্ড এবং নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকবেন লানা ওয়াচোস্কি।
তবে এখনও ছবির নাম, প্রিমিয়ারের তারিখ প্রকাশ করা হয়নি। 'নিও' চরিত্রে কিয়ানু রিভস কিংবা অন্যান্য চরিত্রে ক্যারি-অ্যান মস, লরেন্স ফিশবার্ন, জেসিকা হেনউইকের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি তারকারা ফিরে আসবেন কিনা সে সম্পর্কে কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
এক বিবৃতিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স মোশন পিকচার্স প্রযোজনা প্রধান জেসি এহরম্যান জানিয়েছেন, 'ওয়ার্নার ব্রাদার্সে ম্যাট্রিক্স ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য দারুণ একটি আইডিয়া নিয়ে এসেছেন ড্রিউ গডার্ড । লানা এবং লিলির ২৫ বছর আগে যেটি শুরু করেছিলেন সেটার প্রতি সম্মান রেখে, সিরিজ এবং চরিত্রগুলো নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী কাহিনি নিয়ে আসবেন তিনি।'
গডার্ড বলেন, 'ম্যাট্রিক্স, সিনেমা এবং আমার জীবন উভয়কেই ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। লানা এবং লিলির সূক্ষ্ম শৈল্পিকতা আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে। তাদের জগতে গল্প বলার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।'
ছবির মূল কাহিনি শুরু হয় যখন নিও (কিয়ানু রিভস) নামের এক কম্পিউটার হ্যাকারের সাথে মরফিউস নামের আরেক হ্যাকারের দেখা হয়ে যায়। মরফিয়াস তাকে ২০০ বছরের পরের পৃথিবীতে নিয়ে যায় যেখানে চলতে থাকে যন্ত্র বনাম মানুষের যুদ্ধ, মানুষকে ব্যবহার করা হয় যন্ত্রের জ্বালানি হিসেবে। প্রত্যেক মানুষের মাথার পিছনে একটি কম্পিউটার ক্যাবল দিয়ে কানেকশন দেয়া। এই ক্যাবল দিয়েই তাদের কম্পিউটার প্রোগ্রাম দ্বারা সৃষ্টি করা ভার্চুয়াল জগতে বাস করানো হয়। এই ভার্চুয়াল জগৎটাই মূলত দ্যা ম্যাট্রিক্স।
২০২১ সালের শেষের দিকে মুক্তি পাওয়া 'দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস'-এর মাধ্যমে শেষ সিনেমার প্রায় ২০ বছর পর কিয়ানু রিভস ও ক্যারি-অ্যান মসের প্রত্যাবর্তন ঘটে। তবে ছবিটির সমালোচক এবং শ্রোতা উভয়ের কাছ থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। রোটেন টমেটোতে এর রেটিং মাত্র ৬৩%।
বক্স অফিস মোজো অনুসারে, ১৯০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের বিপরীতে ছবিটি আয় করেছে মাত্র ১৫৭ মিলিয়ন ডলার।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন