ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ দাবিতে মানববন্ধন
ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে কুমার নদের উপর স্থাপিত আলীমুজ্জামান বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে মুজিব সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী মো. জিয়াউর রহমান, মো. দেলোয়ার হোসেন, ফিরোজ হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, শাহজাহান সিরাজ চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ফরিদপুর শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এই সেতুটি কুমার নদের দুই পাড়ে মুজিব সড়কের সংযোগ সেতু। ৮৮ সালের বন্যায় ব্রিজটি ধসে যাওয়ার পরে এখানে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে এই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে শহরের মানুষ বাইপাস ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন।
তারা বলেন, বেইলি ব্রিজ একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। অথচ ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এই অস্থায়ী ব্যবস্থাই জেঁকে বসেছে শহরের বুকে।
পরিকল্পিত নগরায়ণের পথে এই অস্থায়ী লোহার ব্রিজটি বড় বাধা উল্লেখ করে তারা বলেন, এমন একটি বেঢপ ব্রিজের কারণে শহরে পরিকল্পিত যান চলাচল ব্যবস্থা গড়ে উঠছে না। এটি স্মার্ট সিটি নির্মাণের বড় অন্তরায়।
তারা বলেন, শহরে যানজট নিরসন সহ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা চাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন। তারা অবিলম্বে এখানে প্রশস্ত আকারে যান চলাচলের উপযোগী একটি স্মার্ট ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে ফরিদপুর জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান খান বাহাদুর আলীমুজ্জামান চৌধুরী কুমার নদের বুকে শহরের দুই প্রান্তের সংযোগবর্তী এই আলীমুজ্জামান ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ৮৮'র বন্যায় ব্রিজটি ধসে যাওয়ার পরে ৯৩ সালের দিকে এখানে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়। ব্রিজের দুই পাড়ে শহরের ব্যস্ততম তিতুমীর মার্কেট ও হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার অবস্থিত। ব্রিজটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে।