ব্যর্থতার মাঝেও ব্যাটিং করার পথ চেনালেন জ্যোতি
গত বছর ঘরের মাঠে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দারুণ সময়ে কেটেছিল বাংলাদেশের। একটি টি-টোয়েন্টি জেতার পর ওয়ানডে সিরিজে ড্র করে তারা। সেই সুখস্মৃতিকে সঙ্গী করে এবারও গরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ভালোর করার ব্যাপারে প্রত্যয়ী ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার শুরুতেই খেতে হলো হোঁচট। উইকেট বৃষ্টির মাঝে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি কেবল লড়লেন, যদিও তা যথেষ্ট হলো না। বড় হারে সিরিজ শুরু হলো স্বাগতিকদের।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বোরবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ৪৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ভাঙনের সুর বেজে গেলেও জ্যোতি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।বাকি কোনো ব্যাটারই উইকেটে টিকতে পারেননি। বাংলাদেশের মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করেন। জ্যোতির পরে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৩। ৩০ এপ্রিল একই ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচগুলোও হবে সিলেটে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। সফরকারী দলটির শুরুটা ভালো না হলেও চাপ সামলে দারুণ ব্যাটিং করেন শেফালি ভার্মা, যসতিকা ভাটিয়া ও অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। অবদান রাখেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিচা ঘোষও। এদের ব্যাটে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে ভারত। জবাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধুঁকে ধুঁকে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের পক্ষে কেবল জ্যোতি লড়েন। ঘরের মাঠের দলটি ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০১ রান তোলে।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংসে কেবল জ্যোতির নামটাই উল্লেখ করার মতো। ম্যাচসেরা রেনুকা সিং, পুজা ভাস্ত্রেকারদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে বাকিরা সামান্যতম লড়াইও করতে পারেননি। চারে নেমে শেষ ওভারে আউট হওয়া জ্যোতি ৪৮ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫১ রান করেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করা বাংলাদেশ অধিনায়কের এটা ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি। মুর্শিদা খাতুন ১৩ ও স্বর্ণা আক্তার ১১ রান করেন। বাকিদের কেউ ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। রেনুকা ৩টি ও পুজা ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শ্রেয়ানকা, দিপ্তী ও রাধা।
এর আগে ব্যাটিং করা ভারতের পক্ষে ২৯ বলে ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন যসতিকা। ২২ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রান করেন শেফালি। অধিনায়ক হারমানপ্রিত ২২ ৪টি চারে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। ১৭ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রান করেন রিচা। বাংলাদেশের ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার রাবেয়া খান ৩টি উইকেট পান। পেসার মারুফা আক্তারের শিকার ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ফারিয়া তৃষ্ণা ও ফাহিমা খাতুন।