ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ: অন্য মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী চলছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে চলছে তাদের এ বিক্ষোভ। সম্প্রতি অনেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সংঘাতে রূপ নিয়েছে। খবর বিবিসির।
মার্কিন পুলিশ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরকে তাদের অবস্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এদিকে দেশটির আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ পরিস্থিতির কথা জানা গেছে বিবিসির সূত্রে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটি: গতরাতে পুলিশ প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির দুজন শিক্ষার্থী ও দুই বহিরাগতকেও আটক করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি: ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ব্লক বন্ধ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি: স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৯ শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি সদস্য ও আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন: বুধবার বিক্ষোভকারীদের সরাতে ম্যাডিসন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশ ৩৪ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে চারজনকে ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ডালাস: এ ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১৭ জনকে আটক করেছে। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের অবস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু সমঝোতায় পৌঁছেছে:
ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্ট: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি এর বিনিয়োগের তালিকা প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি: বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলোর শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়ার বিনিময়ে নতুন একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনে রাজি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটি: ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অর্থায়ন করছে এমন কোম্পানিগুলো থেকে পাওয়া তহবিল বিশ্ববিদ্যালয় স্থগিত করবে কি না এমন সিদ্ধান্তের ওপর ভোটের আয়োজনের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বিক্ষোভকারীরা শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছে।