মাঠের অনুশীলনে ফিরে কষ্টই হয়েছে বিজয়ের
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সবিকছুর মতো স্থবির হয়ে ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনও। দীর্ঘ চার মাস পর মাঠের অনুশীলনে ফিরেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। ১০ জন ক্রিকেটার গত ১৯ জুলাই থেকে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করে। ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শুরুতে সাতদিনের সূচি তৈরি করেছিল। ২৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা অনুশীলন। কিন্তু ক্রিকেটারদের আবদনের প্রেক্ষিতে অনুশীলন আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।
ক্রিকেটার সংখ্যাও বেড়েছে। ১৩ জন ক্রিকেটার দেশের চারটি ভেন্যুতে একক অনুশীলন করেছেন। সোমবার মিরপুরে যোগ দেন এনামুল হক বিজয়। এদিন জিম ও মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে রানিং করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এতোদিন পর মাঠের অনুশীলন করতে কষ্টই হয়েছে বলে জানালেন কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়া ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
প্রথমদিনের অনুশীলন শেষে বিজয় বলেন, 'আজ মিরপুরে অনুশীলন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। প্রায় চার মাস পর আমরা মিরপুরে অনুশীলন করার সুযোগ পেলাম, অনুশীলন করেছি। বলতে গেলে আজ অনেক কষ্টই হয়েছে। কারণ আমরা ইনডোরে করেছি বা যেখানেই করি না কেন, মিরপুরের অনুশীলন বিশেষ কিছু। কষ্ট হয়েছে অনেকদিন পরে অনুশীলন করতে গিয়ে।'
অনুশীলনের ব্যবস্থা করায় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঈদের পরও অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানান বিজয়। তিনি বলেন, 'আশা করি এভাবে চালিয়ে যাব ঈদের আগে, যতটা করতে পারি। এরপর ঈদের পর তো ধারাবাহিকভাবে করতেই থাকব। বিসিবিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের এমন একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আশা করি সামনেও এটা অব্যাহত থাকবে।'
মিরপুরে সাতজন ক্রিকেটার অনুশীলন করেছেন। তারা হলেন মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান রানা, তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক বিজয়। এদের মধ্যে মুশফিক, ইমরুল, মেহেদী রানা ও বিজয়ের অনুশীলনের সূচি দুদিন বাড়ানো হয়েছে। তবে দেশের আর কোনো ভেন্যুতে অনুশীলনের সূচি বাড়ানো হয়নি।
বিসিবির আগের সূচি অনুযায়ী খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন দুই ডানহাতি স্পিনার মাহেদী হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলন চালিয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। এ ছাড়া চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম একাই অনুশীলন করেছেন তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান।