ইউরোর পর ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা ক্রুসের
একজন ফুটবলার ক্যারিয়ারে যা যা অর্জন করতে চান, তার সবই করেছেন তিনি। ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সর্বোচ্চ সব শিরোপা জিতেছেন তিনি। আর তাই এবার বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টনি ক্রুস। ঘরের মাঠে ২০২৪ সালের ইউরোই হবে ফুটবলের মাঠে তার শেষ পদচারণা।
ইউরোর পর সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জার্মান এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডার। বয়স মাত্র ৩৪ হলেও ক্যারিয়ারে জেতার আর কিছুই বাকি নেই তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও বিশ্বকাপ জেতা ফুটবলারদের মধ্যে তিনি অন্যতম। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আরেকবার খেলবেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। ঘরের মাঠে ইউরো জেতার সুবর্ণ সুযোগও পাচ্ছেন ক্রুস।
ক্যারিয়ারে বলতে গেলে কেবল তিনটি ক্লাবের হয়েই খেলেছেন ক্রুস। তার মধ্যে দুই মৌসুম বায়ার্ন থেকে বায়ার লেভারকুসেনে ধারে খেলছেন। প্রায় ১৮ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় তিনি ছয় বছর খেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে। জার্মান জায়ান্টদের একাডেমি থেকে উঠে আসা ক্রুস বাভারিয়ানদের জার্সি গায়ে খেলছেন ২০৫ ম্যাচ, গোল করেছেন ২৫টি। জিতেছেন তিনটি বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ১০টি শিরোপা। ২০১২-১৩ মৌসুমে বায়ার্নের ট্রেবলজয়ী দলের সদস্য ছিলেন ক্রুস।
এরপর ২০১৪ বিশ্বকাপের পর পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে এক চ্যাম্পিয়ন্স লিগই জিতেছেন চারটি। সুযোগ আছে সেটিকে পাঁচে নিয়ে যাওয়ার। এছাড়া চারটি লা লিগাসহ সর্বমোট ২১টি শিরোপা জিতেছেন স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে। অর্থাৎ, ক্লাব ক্যারিয়ারে ৩১টি শিরোপা জয়ের কীর্তি রয়েছে ক্রুসের।
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত জার্মানির হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়। আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে হারিয়ে চতুর্থ বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে জার্মানরা। সেই বিখ্যাত সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারানোর ম্যাচে জোড়া গোল করেন ও একটি গোল করান ক্রুস। ২০২১ সালে ইউরোর দ্বিতীয় পর্ব থেকে বিদায়ের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান ক্রুস।
তবে ঘরের মাঠে ২০২৪ ইউরোর আগে কোচের অনুরোধে অবসর থেকে ফেরার ঘোষণা দেন স্নাইপার বলে খ্যাত এই মিডফিল্ডার। তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেন জার্মানি কোচ জুলিয়ান নাগলসমান। আর এই ইউরো খেলেই বর্ণিল এক ক্যারিয়ারের পর্দা টানার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ক্রুস। জার্মানির হয়ে ১০৮ ম্যাচে ১৭ গোল করেছেন তিনি।