প্রায় স্থবির বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে বাধাগ্রস্ত দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাবের সার-সংক্ষেপ অনুযায়ী, এ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার ৩০.৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; গত অর্থবছরে যা ছিল ৩০.৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ, বছরের ব্যবধানে দেশের জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার অনেকটাই স্থবির অবস্থায় রয়েছে।
এর আগের দুই বছরের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করলে, এই হ্রাসমান পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২২ অর্থবছরে ইনভেস্টমেন্ট-টু-জিডিপি রেশিও বা জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার ছিল ৩২.০৫ শতাংশ; এর আগের অর্থবছর ২০২১ এ ছিল ৩১.০২ শতাংশ।
এছাড়া, আগামী বছরের ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দেশের প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৮.৫১ শতাংশ– যা অর্জন এখন সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০২৫ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার হতে হবে ৩৬.৫৯ শতাংশ।
এখন প্রশ্ন হলো— দেশে বিনিয়োগ কেন কমে যাচ্ছে? যেখানে একটি দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মূল অংশই হলো বিনিয়োগ? এর উত্তর সম্ভবত একাধিক।
খাত সংশ্লিষ্ট ও অর্থনীতিবিদেরা বেশকিছু প্রতিকূলতার কথা উল্লেখ করেছেন। এরমধ্যে প্রধান হলো— বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতে চলমান অস্থিরতা, যে কারণে দেশের ব্যবসায়িক পরিস্থিতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এছাড়া, শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের (গ্যাস-বিদ্যুৎ) অভাবেও অনেকে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি। আর এই সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করে তুলেছে দেশে ব্যবসা পরিচালনার ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি। এতে কমে যাচ্ছে ব্যবসায়ের মুনাফা। সবকিছু মিলিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছেন না সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা।
ফলে চলতি অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে বেসরকারিখাতে বিনিয়োগের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, আগামী তিন অর্থবছর শেষেও ওই পরিমাণ বিনিয়োগ আশা করতে পারছেন না স্বয়ং অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আর বিনিয়োগের হার বাড়াতে না পারলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কৃচ্ছ্রসাধন নীতি থেকে বের হয়ে এসে মেগা প্রকল্পসহ চলমান ও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সরকারি বিনিয়োগের হার বেড়ে জিডিপির ৬.৩ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়। একইভাবে, বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রাও জিডিপির ২৭.৪ শতাংশ প্রাক্কলন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সভায় আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার। যদিও বর্তমানে জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগের হার সাড়ে ২৪ শতাংশ বলে ওই সভায় জানান তিনি। সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে তখনকার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হবে। লজিস্টিকসখাতের উন্নয়ন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার সংস্কারের ফলে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সময়, ব্যয় ও জটিলতা হ্রাস পাবে। ফলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। সরকারি-বেসরকারিখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপির ৩৩.৭ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এ কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার বাড়ালেও বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণের সুদহার বাড়ায়নি সরকার। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও অর্থবছরের ১০ মাস সময় ধরে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার শতাংশ বহাল রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৮ মে ঋণ ও আমানতের সুদহারে ৬ শতাংশ ও ৯ শতাংশের ক্যাপ তুলে নেওয়া হয়।
রোববার পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাবের সার-সংক্ষেপ অনুসারে, দেশে এখন জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার ৩০.৯৮ শতাংশ।
সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে অর্থমন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সভায় এই দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এমন আশঙ্কা করেন।
সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, চলতি অর্থবছরও সরকার কৃচ্ছ্রসাধন নীতি অনুসরণ করছে। এর প্রতিফলন সরকারি বিনিয়োগেও দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের বাজেটে সরকারি বিনিয়োগ এর আগের অর্থবছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।
উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অনিশ্চিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে সরকারি বিনিয়োগের বর্তমান গতিধারা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সভায় অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ কমে জিডিপির ২৪.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং এই ধারা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য পরবর্তী তিন বছরে বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষমাত্রা ২৬ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন।
একইসঙ্গে সরকারি বিনিয়োগের গতিধারাও অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সরকার মূলত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগ করে থাকে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এখাতে বরাদ্দের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় মাত্র ২,০০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২.৬৫ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ফলে এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি চলতি অর্থবছরের তুলনায় ভালো না হলে আগামী অর্থবছরেও সরকারি বিনিয়োগ বাড়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।
তবে নতুন অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগের হার কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে বেসরকারিখাতের মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে আগামীতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে টিবিএসকে জানিয়েছেন অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তবে জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপনের আগে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা জানান, বাজেটে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হলেও দীর্ঘদিন ধরেই এটি জিডিপির ৩০ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সরকারের বিনিয়োগ বেশ বাড়লেও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে না। কোভিডকালীনও সরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ৭ শতাংশের বেশি ছিল। কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগ কোভিডকালীন সময়ের তুলনায় গত অর্থবছরের চেয়ে কমে গেছে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম টিবিএসকে বলেন, একদিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা, অন্যদিকে দেশের ভেতরে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে যাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, "ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব যেভাবে প্রকট হচ্ছে, তাতে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি কবে বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল হবে, তা বলা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের সাহস পাচ্ছেন না।"
"অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা আস্থা পাবেন। সরকার লজিস্টিকস নীতিমালা করেছে। এর বাস্তবায়ন হলে ব্যবসার সময় ও খরচ কমবে। তখন বিনিয়োগে কিছুটা গতি আসবে," যোগ করেন তিনি।
অর্থবিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মাহবুব আহমেদ টিবিএসকে বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দাভাব, রপ্তানিতে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি না হওয়া, ব্যবসায়ের খরচ বেড়ে যাওয়া, ইউটিলিটি খরচ বৃদ্ধি, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকা এবং ব্যাংকঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না।
তিনি বলেন, "বৈশ্বিক অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় মুনাফা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। অনেকে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেও কম বিনিয়োগের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন।"
সঞ্চয়ও কমেছিল, তবে এখন বাড়ছে
উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও আমানতের সুদহার ৬ শতাংশে আটকে রাখার কারণে জাতীয় সঞ্চয় ও জিডিপির অনুপাতে সঞ্চয়ের হার ১০ বছর আগের তুলনায় অনেক কম।
তবে গত বছরের জুলাই থেকে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ব্যাংক ঋণের ওপর আরোপিত ক্যাপ প্রত্যাহারের কারণে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
গত কয়েক বছর ধরে সঞ্চয় প্রবণতা কমে যাওয়ার পেছনে দুটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করে সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ টিবিএসকে বলেন, "প্রায় তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি থাকলেও আমানতের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে; অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতির হারের তুলনায় আমানতের সুদহার অনেক কম হওয়ায় তারা সঞ্চয়ে আগ্রহ হারিয়েছেন।"
এমন পরিস্থিতিতে সঞ্চয়ে প্রবৃদ্ধির আশা করাটা অর্থনীতির দৃষ্টিতে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের ডমেস্টিক সেভিংস বা অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়ের হার জিডিপির অনুপাতে ২৬ থেকে ২৭ শতাংশের মধ্যে ছিল।
২০২০ সালে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আগের বছরের ২৭.০৮ শতাংশ থেকে তা ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫.৩৪ শতাংশে নেমে আসে। এর পরের অর্থবছরে এই হার আরও কমে ২৫.২২ শতাংশ হয়।
গত অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়ের হার সামান্য বেড়ে ২৫.৭৬ শতাংশ এবং সুদহারের ক্যাপ তুলে নেওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে এই হার বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৬১ শতাংশে উন্নীত হবে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
একইভাবে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ন্যাশনাল সেভিংস বা জাতীয় সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল জিডিপির অনুপাতে ৩১.৪২ শতাংশ, যা পরের অর্থবছরে কমে ৩০.৭৯ শতাংশে নেমে যায়।
২০২১-২২ অর্থবছরে এই হার আরও কমে দাঁড়ায় ২৯.৩৫ শতাংশে। গত অর্থবছরে এটি সামান্য বেড়ে ২৯.৯৫ শতাংশ হয়। তবে চলতি অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, জাতীয় সঞ্চয়ের হার জিডিপির অনুপাতে ৩১.৮৬ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।