সমাবেশে যোগ দেননি তুমব্রু সীমান্তের রোহিঙ্গারা
২৫ আগস্ট (রোববার) রোহিঙ্গা গণহত্যার ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ দফা দাবিতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প এক্স-৪ এ সমাবেশ করেছেন রোহিঙ্গা নেতারা। সমাবেশে নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন তারা। তবে সমাবেশে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু কোণারপাড়া নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গাদেরর কেউ যোগ দেননি বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ।
তিনি মনে করেন, “রোহিঙ্গারা তুমব্রু কোণারপাড়া এলাকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। তাদের কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। তবে তাদের দেশে ফেরার বিষয়টি নির্ভর করছে মিয়ানমার সরকারের উপর।”
জানা যায়, নো-ম্যান্স ল্যান্ডে এর আগে বসবাস শুরু করা সাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৯১০ জন রোহিঙ্গা এখন অবস্থান করছেন। বাকিরা বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে গেছেন। যারা আছেন তারা মাদক পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের বাসিন্দা আবদুল হামিদ জানান, “তুমব্রু সীমান্তের কোণারপাড়ায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তারা অনেকেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। এছাড়া চোরাকারবারি, মারামারিসহ নানান অপরাধেও তারা লিপ্ত হচ্ছে।”
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে বলে জেনেছি। এছাড়া তারা এতটাই উগ্র যে, কেউ তাদের সঙ্গে ভালো করে কথাও বলতে পারে না। তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত।”
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, “প্রশাসন সবসময়ই তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সকল কর্মকাণ্ড নজরে রাখার পাশাপাশি প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।”