স্রোতের টানে ভেসে গেছে গাজার উপকূলে ভেড়ানো অস্থায়ী মার্কিন ভাসমান বন্দর
গাজার উপকূলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত অস্থায়ী বন্দরে নোঙর করে থাকা কয়েকটি জাহাজ স্রোতের টানে ভেসে গেছে। শনিবার (২৫ মে) এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
গত ৮ মার্চ গাজার উপকূলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ৩২ কোটি ডলারে অস্থায়ী বন্দর নিমার্ণের ঘোষণা দেন বাইডেন প্রশাসন এবং ১৭ মে থেকে বন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।
বিবৃতিতে সেন্টকম জানায়, ত্রাণ সরবরাহে নিয়োজিত থাকা জেটিটিকে যে ছোট নৌকা (টাগবোট) টেনে নিয়ে যাচ্ছিল তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে জেটিতে থাকা জাহাজগুলো সেখান থেকে আলগা হয়ে যায় এবং দুটি জাহাজ জেটির কাছাকাছি সৈকতে নোঙর করে। তৃতীয় ও চতুর্থ জাহাজটি আশকেলনের কাছে ইসরায়েল উপকূলে অবস্থান করছে।'
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং ইসরায়েলি ও মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় জাহাজগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা হেইদি ঝৌ-কাস্ত্রো বলেন, পেন্টাগন জোর দিয়ে বলছে যে জেটিটি এখনও পুরোপুরি কার্যকর রয়েছে। তিনি আরও জানান, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে এই উদ্ধার অভিযানের সময় কোনো মার্কিন সেনা গাজায় প্রবেশ করবে না।
ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রানাধীন স্থলপথ ত্রাণ পরিবহণের জন্য খুলে দেওয়ার পরিবর্তে এভাবে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ, জটিল ও ব্যয়বহুল সমাধান হিসেবে সমালোচিত হয়েছে।
গত মার্চে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, জেটিতে খাবার, পানি, ওষুধ ও অস্থায়ী আশ্রয়ের বড় চালান থাকবে। তবে বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে অনেকে তার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থকদের খুশি করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন, কারণ আসন্ন নভেম্বরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
এদিকে, শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ভাসমান ডকটি চালু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ৯৭টি ট্রাক ত্রাণ সরবরাহের জন্য পরিচালনা করছে। দুজারিক আরও বলেন, 'কঠিন শুরুর পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।'
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন