কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংকে মিলল এমপি আজীমের মরদেহের অংশ
কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের অংশ উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা।
কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের তিন সদস্যের গোয়েন্দা দলের একজন সদস্য মঙ্গলবার (২৮ মে) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেছেন যে তারা সার্কামসটেনশিয়াল এভিডেন্স (পরিস্থিতিগত প্রমাণ) পেয়েছেন।এবার হত্যাকাণ্ডটি যেখানে হয়েছিল সেই ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের সঙ্গে সংযুক্ত স্যুয়ারেজ লাইনে ফের অনুসন্ধান করা হবে।
হারুন-অর-রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছেন 'আমরা পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির সহায়তায় সেই ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের সঙ্গে সংযুক্ত নর্দমা লাইনটি পরিদর্শন করেছি। আমরা পুরো নর্দমা লাইনটি ভাঙতে সিআইডির সাহায্য নিয়েছি। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সদর দপ্তরে অভিযুক্ত কসাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি আমরা।'
এমপি আজীমের হত্যা মামলা তদন্ত করতে গত ২৬ মে কলকাতায় যায় ডিবির একটি দল।
এ বিষয়ে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেন, তাদের টিম প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। এরপরে তারা মুম্বাইয়ে কসাইয়ের কাজ করা বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
জিহাদকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে বাগডোবা খালেও তল্লাশি অভিযান চালায় তারা।জিহাদ ওই খালে দেহের কিছু অংশ ফেলে দেওয়ার কথা জানানোর পর, দুই দেশের পুলিশ বাগডোবা খালে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
গত ২৩ মে কলকাতা সিআইডির চার সদস্যের একটি দল ঢাকায় আসে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর তারা বাংলাদেশে রিমান্ডে রয়েছে।
তিনবারের সংসদ সদস্য আজীম চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যাওয়ার একদিন পর গত ১৩ মে নিখোঁজ হন।
২২ মে সকালে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, এমপি আজীমকে কলকাতার নিউ টাউনের একটি বাড়িতে খুন করা হয়েছে। এরপরই তদন্ত শুরু করে দুই দেশের পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে তিনজন এবং কলকাতায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।