ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে নাম লেখালেন স্পিকার বাঘের ঘালিবাফও
ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর আগামী ২৮ জুন ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে নিবন্ধন করেছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মেদ বাঘের ঘালিবাফ।
নির্বাচনটিকে ঘিরে টানা পাঁচদিন ধরে প্রার্থিদের নিবন্ধন দাখিলের পর গতকাল (সোমবার) আনুষ্ঠানিকভাবে সময় শেষ হয়। এক্ষেত্রে সর্বমোট ৮০ জন প্রার্থী হতে নিবন্ধন করেছেন।
আগামী ১১ জুন দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিলে সকলের প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এই বোর্ড চাইলে যে কারো প্রার্থিতা বাতিল করে দিতে পারেন। এরপর নির্বাচনী প্রচারণা করার জন্য তারা দুই সপ্তাহের সময় পাবেন।
২০০৫ ও ২০১৩ সালেও প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়েছিলেন ঘালিবাফ। আর ২০১৭ সালে তিনি রাইসিকে সমর্থন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে ঘালিবাফ নির্বাচনে জয়ী হলে ইরানের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি নির্বাচনে না গেলে জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে গত কয়েক বছরে আমরা যে কাজ শুরু করেছি… তা শেষ হবে না।"
৬২ বছর বয়সী ঘালিবাফ ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের বিমান বাহিনীর সাবেক কমান্ডার। গত মার্চ মাসে আইনসভা নির্বাচনের পর ২৮ মে তিনি সংসদের স্পিকার পুনর্নির্বাচিত হন।
এদিকে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। নিবন্ধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বিশ্বের সাথে ইরানের 'গঠনমূলক সম্পর্ক' ও সব দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আহমাদিনেজাদ বলেন, দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার পর ২০১৩ সালে তিনি যখন দায়িত্ব ছাড়েন, সে সময়ের চেয়ে বর্তমানে ইরানে অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যাগুলো আরও বেড়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে আহমাদিনিজাদ হাত উঁচিয়ে বলেন, "বসন্ত দীর্ঘজীবী হোক, ইরান দীর্ঘজীবী হোক।"
ইরানের পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার আলী লারিজানিও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ দৃঢ়।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান আব্দুলনাসের হিম্মাতিও প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন করেছেন। তিনি ২০২১ সালেও প্রার্থী হয়েছিলেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান