সেন্টমার্টিনগামী স্পিডবোট লক্ষ্য করে আবারও গুলি করল মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী
নাফ নদীতে সেন্টমার্টিনগামী একটি স্পিডবোট লক্ষ্য করে মঙ্গলবার (১১ জুন) মিয়ানমারের একটি অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠী আবারও গুলি চালিয়েছে।
সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও দ্বীপ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, 'নাফ নদী যেখানে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে, সেই নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থানরত সশস্ত্র দলটি পাঁচজন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দিকে যাওয়া স্পিডবোটে ১০–১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'চালক অবস্থা বুঝে স্পিডবোট দ্রুত চালিয়ে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে যান। এতে কেউ হতাহত হয়নি। বোটটি দুপুর ১২টার দিকে দ্বীপে পৌঁছে।'
ট্রলার বা স্পিডবোটের মাধ্যমে ওই রুটে যাত্রী বা পণ্য পরিবহনের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, '৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় নির্বাচনি সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি নৌযানে গুলিবর্ষণ করা হয় মিয়ানমার থেকে। এতে ট্রলারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।
'এরপর ৮ জুনও আরেকটি পণ্যবাহী ট্রলারে আবারও গুলি চালানো হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটিতে গুলি লাগে সাতটি। স্পিডবোট অনেক দূর থেকে চলাচল করলেও কেন বাংলাদেশের জলসীমায় এসে তারা গুলি করছে তা বোঝা যাচ্ছে না।'
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, 'সেন্টমার্টিন–টেকনাফ যাত্রী ও পণ্যবাহী সব নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।'
[পরিস্থিতির] সমাধান না হলে দ্বীপবাসীর অবস্থা খুব সংকটাপন্ন হবে উল্লেখ করে তিনি বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ডের জাহাজযোগে খাদ্যপণ্য পরিবহনের দাবি জানান।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, 'সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি চালানোর কারণে ছয়দিন ধরে এ নৌপথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বঙ্গোপসাগর হয়ে শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার বিকল্প পথ নিয়ে গত রোববার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়েছিল।'
বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'এখন সেন্টমার্টিনে পণ্য পাঠানোর জন্য বঙ্গোপসাগরই ভরসা।'